বগুড়া নিউজ ২৪ঃ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সংবিধান অবমাননাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদী মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছরে যাত্রা করতে যাচ্ছে। সমগ্র বাঙালি জাতি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন করছে।
তারা বলেন, এক শ্রেণির লোক উগ্র সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দিচ্ছে, তারা জাতির জনকের ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলার হুংকার দিচ্ছে। এমন ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ ও দেশদ্রোহিতার জন্য অনতি বিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
বক্তারা বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে স্বীকার করে না তাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সংবিধান ও বঙ্গবন্ধুকে অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলার দাবি করেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী ও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর হওয়ার অনুরোধ জানান বক্তারা।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার সম্মুখে জাতীয় ও স্থানীয় ভিত্তিক ১১টি সাংস্কৃতিক মোর্চার যৌথ মানববন্ধনে বক্তারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, সিলেটের সভাপতি মিশফাক আহমেদ চৌধুরী মিশুর সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার, সিলেট বিভাগের সমন্বয়কারী রজত কান্তি গুপ্তের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন- সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় সদস্য শামসুল আলম সেলিম।
মানববন্ধনে প্রায় অর্ধ শতাধিক সংগঠন সংহতি জানিয়ে ও মানববন্ধনে একাত্মতা পোষণ করে বক্তব্য রাখেন- সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তাপস দাশ পুরকায়স্থ, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ রেনু, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি, মহানগর সভাপতি আবদুল জলিল, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তী প্রমুখ।
প্রতিবাদে সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন- মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ভবতোষ রায় বর্মণ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ব্যারিস্টার মো. আরশ আলী, বাংলাদেশ সঙ্গীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি সঙ্গীতশিল্পী হিমাংশু বিশ্বাস, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ, কেন্দ্রীয় সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মোকাদ্দেছ বাবুল, রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী সংস্থার সভাপতি রানা কুমার সিন্হা, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আল-আজাদ, সাংস্কৃতিক সংগঠক বিভাষ শ্যাম যাদন, খোয়াজ রহিম সবুজ, উজ্জ্বল দাস, নজরুল সঙ্গীত শিল্পী পরিষদ, সিলেট বিভাগের সাধারণ সম্পাদক সুকোমল সেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিজন রায়, জাতীয় কবিতা পরিষদ, সিলেটের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক অপূর্ব শর্ম্মা, জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী পরিষদের প্রতীক এন্দ টনি, বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা, সিলেট বিভাগের সাধারণ সম্পাদক নিলাঞ্জনা যুঁই।
অন্যান্য সংগঠনের মধ্যে সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন- মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. নাজেরা চৌধুরী, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মামুন হাসান, চিত্রশিল্পী সমন্বয় পর্ষদের যুগ্ম আহ্বায়ক শামসুল বাছিত শেরো, সিলেট নজরুল পরিষদের আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম, ইমজা, সিলেটর সাবেক সভাপতি আশরাফুল কবির, রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সুমনা আজিজ, স্বাধীনতা সংস্কৃতি পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক বিপ্লব শ্যাম সুমন, পাঠশালার সংগঠক হুমায়ুন কবির জুয়েল, বাংলাদেশ নারী মুক্তি সংসদের জেলা সভাপতি ইন্দ্রানী সেন, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার, ওসমানী অঞ্চলের সমন্বয়ক সৈয়দ সায়মুম আঞ্জুম ইভান, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সাই, ইনোভেটরের নির্বাহী সঞ্চালক প্রণব কান্তি দেব, সমন্বয়ক আশরাফুল ইসলাম অনি, জয় বাংলা সাংস্কৃতিক পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাহ উদ্দিন বকস্ সালাই, সাধারণ সম্পাদক শেখ আক্তারুজ্জামান, বঙ্গবীর ওসমানী স্মৃতি সংসদের সভাপতি সৈয়িদ আহমদ বহলুল, জাতীয় কবিতা পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাশমির রেজা, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি এম রশিদ আহমদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য ইমদাদুল হক জাহেদ, সিলেট ফটোগ্রাফি সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাপ্পী ত্রিবেদী, ভূমি সন্তান বাংলাদেশের সংগঠক আনিস মাহমুদ, প্রথম আলো বন্ধু সভা সিলেটের সভাপতি তামান্না ইসলাম, মেঠো সুরের সম্পাদক বিমান তালুকদার, শিশু সংগঠক বিমল কর, বিশ্বনাথ উপজেলা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সিতার মিয়া প্রমুখ।