লক্ষ্মীপুরে বেলুন বিক্রি করেই চলে ৭ সদস্যের সংসার

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ বেল্লাল হোসেন ছয় বছর ধরে বেলুন বিক্রি করে। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তৃতীয় সে। বাবা আজগর হোসেন কৃষিকাজ করেন, মা গৃহিনী। স্কুল বন্ধ থাকায় ছোট আরো দুই ভাই তার সাথে বেলুন বিক্রি করে। প্রতিটি বেলুন ৫০ টাকা করে বিক্রি হয়। জনবহুল স্থানে ঘুরে ফিরে বেলুন বিক্রি করে বেল্লাল। তবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হলে একটু ভালো বিক্রি হয়। ছোট ছোট বাচ্চা ছেলেমেয়েদের টার্গেট করে সে স্থানে ঘুরঘুর করে মনোহারী বেলুন নিয়ে। কোন অনুষ্ঠান বা সভা-সেমিনার না থাকলে হাসপাতাল এলাকায় বেলুন নিয়ে যায়। সেখানে রোগী ও দর্শনার্থীদের সাথে ছোট ছোট বাচ্চাছেলেমেয়েরা আকৃষ্ট হয় নানা রঙের, নানা ডিজাইনের বেলুন দেখে। হাতি, ঘোড়া, মাছ, বিমান, পাখি ও কুকুরসহ নানা বন্য পশু পাখির অবয়বে তৈরি হয় বেলুন। হাওয়া ও গ্যাস দুই ধরনের বেলুন হয়, তবে গ্যাসভর্তি উড়ন্ত বেলুনের চাহিদা ভালো। প্রতিদিন তিন ভাই মিলে প্রায় আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকার বেলুন বিক্রি করে।

প্যাকেট বা কার্টুন হিসেবে হাওয়া বা গ্যাসহীন খালি বেলুন কিনে বেল্লাল বাড়িতে বা সুবিধামতো স্থানে বসে গ্যাস ভর্তি করে তারপর বিভিন্ন স্থানে ফেরি করে বিক্রি করে। হাসপাতাল ছাড়াও দক্ষিণ ও উত্তর তেমুহনী, কোর্ট এলাকা, বিজয় চত্তর, বাজারের কসমেটিক ও শাড়ি পট্টি, স্কুলের গেটে দাঁড়িয়ে বা হেঁটে হেঁটে বেলুন বিক্রি করা হয়। অভিভাবকদের অনিচ্ছাসত্ত্বেও বাচ্চাদের কান্নাকাটিতে ৫০ টাকা দিয়ে বেলুন কিনতে বাধ্য হয়। দেখা গেছে বেলুন কিনে একটু সামনে যেতেই পলিথিন আবৃত বেলুন লিকেজ হয়ে গ্যাস উদাও। স্বল্প সময়ের জন্য মনোহর বেলুন বিক্রি করে সাত সদস্যের পরিবার বেশ ভালোই চলছে। বেলালের বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদরের জকসিন বাজার এলাকায়।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১