বগুড়া নিউজ ২৪ঃ ইউরোপ, কানাডার পর এবার আমেরিকায় হানা দিল মাঙ্কিপক্স (Monkeypox)। ইউরোপে এই সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছেন বহু মানুষ। কানাডায়ও চিকিৎসাধীন অন্তত ১২ জন। এবার এই সংক্রামক ব্যাধি হানা দিল মার্কিন মুলুকেও। বুধবার সে দেশের এক নাগরিকের দেহে ধরা পড়েছে এই ভাইরাসের উপস্থিতি।
এ প্রসঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) জানিয়েছে, সংক্রমিত ব্যক্তি কিছুদিন আগেই কানাডা সফর থেকে ফিরেছেন। সেখান থেকেই তিনি আক্রান্ত হয়েছেন বলে প্রাথমিক ধারনা চিকিৎসকদের। সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আরও কতজন এসেছেন, তা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। এদিকে কানাডার কিউবেক শহরে ১৩ জন সংক্রমিতের হদিস মিলেছে। ইউরোপেও আক্রান্ত হয়েছেন বহু। তবে আমেরিকার সংক্রমিত ব্যক্তি আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সুস্থই আছেন তিনি।
ভাইরাসঘটিত মাঙ্কিপক্স অত্যন্ত ছোঁয়াচে। গুটি বসন্ত গোত্রেরই ভাইরাস এটি। সংক্রমিত হলে কী কী লক্ষ্মণ দেখা দিতে পারে?
দেহে ভাইরাসের প্রবেশের তিনদিনের মাথায় প্রবল জ্বর আসে।
জ্বর আসতে পারে কাঁপুনি দিয়ে।
শুরু হয় সারা শরীরজুড়ে অসম্ভব ব্যথা।
পেশিতে খিঁচুনি হতে পারে।
চিকেনপক্সের মতো মুখ এবং শরীরজুড়ে বড় বড় ফোস্কার মতো ব়্যাশ বের হবে।
ব়্যাশের জায়গায় চুলকানি, জ্বালা হতে পারে।
ত্বক শুকিয়ে, খসখসে হয়ে যাবে।
দুর্বল হয়ে যাবে শরীর।
দু-চারসপ্তাহ ভোগাবে এই অসুখ।
কীভাবে ছড়ায় মাঙ্কিপক্স?
সংক্রমিত ব্যক্তির দেহ তরল থেকে ছড়াতে পারে এই রোগ।
তবে আক্রান্তের পোশাক বা বিছানা ব্যবহার করলেও ছড়াতে পারে সংক্রমণ।
কেউ কেউ অবশ্য বলছেন, সংক্রমিতের সঙ্গে যৌন মিলন করলেও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে।
এই ভাইরাস তুলনামূলক ভাবে বিরল হলেও এর সংক্রমণে গুরুতর ক্ষতি হতে পারে শরীরের। মূলত মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকাতেই এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা যায় বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO। সাধারণত বাঁদর কিংবা ইঁদুর জাতীয় প্রাণীর শরীরেই এদের বাস। তবে কখনও কখনও সেখান থেকে মানবশরীরেও তা ছড়িয়ে পড়ে।