মেয়েদের ইউরো সেরা ইংল্যান্ড

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ ইংল্যান্ড ২: জার্মানি ১
মেয়েদের ইউরো প্রবর্তিত হয়েছে যেবার, সেই ১৯৮৪ সালেই ট্রফি জয়ের সম্ভাবনা ছিল ইংল্যান্ডের। ফাইনালে টাইব্রেকারে সুইডেনের কাছে ৪-৩ কাছে সেই হারের ক্ষত বয়ে বেড়িয়েছে ইংল্যান্ডের মেয়েরা বহু দিন।

২০০৯ সালে ফাইনালে জার্মানির কাছে ৬-২ গোলে হারও কম পোড়ায়নি ইংল্যান্ডকে। নারী ইউরোর ত্রয়োদশ আসরে এসে অতীতের সব ব্যর্থতার জ্বালা জুড়িয়েছে। ১৯৮৪’র ফাইনাল ট্র্যাজেডী আর ২০০৯ সালের হতাশা লাঘব করেছে রোববার রাতে ইংল্যান্ডের মেয়েরা।

নিজেদের পরিচিত মাঠ উইম্বলিতে ৮ বারের নারী ইউরো চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে ২-১ গোলে হারিয়ে মেয়েদের ইউরো শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে ইংল্যান্ড। ১৯৬৬ সালে ঘরের মাঠে ছেলেদের বিশ্বকাপ ট্রফি জয় ছিল এতোদিন ইংল্যান্ড ফুটবল ইতিহাসে সেরা সাফল্য। এর পর বৈশ্বিক ফুটবল আসর দূরে থাক, মহাদেশীয় ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়েও ট্রফিহীন ছিল ইংল্যান্ড। ১৯৬৬ সালের সেই অর্জনের ৫৬ বছর পর ইংল্যান্ডের মেয়েরা পেলো ইউরোর শ্রেষ্ঠত্ব।
সেমিফাইনালে সুইডেনকে ৪-০গোলে বিধ্বস্ত করে ট্রফি জয়ে ফেভারিট হিসেবে ফাইনালে অবতীর্ন হয়েছে ইংল্যান্ডের মেয়েরা। ঘরের মাঠে ৯০ হাজার দর্শকের সামনে লড়াইটা জমে উঠেছিল। বল দখলে ইংল্যান্ডের ৫১% এর বিপরীতে জার্মানির পায়ে ছিল ৪৯% বল। গোলপোষ্ট লক্ষ্য করে শটেও (৬-৫)এগিয়ে ছিল ইংল্যান্ড।

পরিকল্পিত ফুটবল খেলেই জিতেছে তারা ট্রফি। প্রথমার্ধে গোলহীন ফাইনাল নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ছিল ১-১ গোলে সমতা। খেলার ৬২ মিনিটে ইলা টনি’র গোলে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড (১-০)। ৭৯ মিনিটে পরিকল্পিত আক্রমন থেকে লিনা মাগুলের গোলে সমতা আনে (১-১) জার্মানি।

অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধ ছিল গোলহীন। তবে পেনাল্টি ভাগ্য পর্যন্ত অপেক্ষা করতে দেয়নি ইংল্যান্ড। জটলার মধ্য থেকে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় জয়সূচক গোলটি করেন চোলি কেলি (২-১)।

এই আসরে যৌথভাগে সর্বোচ্চ ৬টি করে গোল করেছেন ইংল্যান্ডের বেথ মিড ও জার্মানির আলেকজান্ডার পোপ।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ