পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনায় এখন প্রতিদিন ৬-৭ ঘণ্টা লোডশেডিং করা হচ্ছে। ঘাটতি বেশি থাকার কারণে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা লোডশেডিংয়ের সময়সূচি ঠিক রাখা যাচ্ছে না। সংকটের কারণে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে সরবরাহ বেশি বন্ধ রাখতে হচ্ছে। সরবরাহ কম থাকায় ঘোষিত সময়ের বাইরে গিয়ে লোডশেডিং হচ্ছে।
পাবনা জেলা শহরের নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুতের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কম মিলছে। ফলে কোনো অবস্থাতেই লোডশেডিংয়ের নির্ধারিত সূচি মানা সম্ভব হচ্ছে না।
মহসিন সড়কের চানাচুর ব্যবসায়ী রতন মৃধা জানান, অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নানা ধরনের ঝামেলা তৈরি হচ্ছে। ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য জেনারেটরের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে গেছে। অন্যদিকে শহরের পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরদী উপজেলার আথাইলশিমুল, খয়েরবাড়িয়া, অটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গ্রামে দিনের মতো রাতেও লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গড়ে চার থেকে পাঁচ বার এবং সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত অন্তত আরো দুই বার লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর মহাব্যবস্থাপক আকমল হোসেন বলেন, মোট বিদ্যুৎ চাহিদার মধ্যে অর্ধেক সরবরাহ পাচ্ছি। ফলে কিছুই করার থাকছে না। বিদ্যুৎ যেটুক মিলছে, তাই ভাগ করে সরবরাহ করা হচ্ছে।
পাবনা নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুল হক জানান, চাহিদামতো বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না। অতিরিক্ত লোডশেডিং হচ্ছে।