শেরপুরে ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা দেখতে উৎসুক জনতার ভীড়

শেরপুর প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শেরপুরের শালফা গ্রামে যুগ যুগ ধরে চলে আসছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহি লাঠি খেলা। এতে হাজার হাজার ছোট বড় নারী পুরুষ উপস্থিত হয়ে খেলা উপভোগ করেন। গ্রামের প্রবীণ ব্যাক্তিরা মারা যাওয়ার ফলে এ খেলার প্রতি মানুষের তেমন চাহিদা লক্ষ্য করা যায়না। তারপরেও গ্রামের সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে ১০ আগস্ট বুধবার বিকালে কমর উদ্দিন, শাজাহান আলী ফকির ও এজার উদ্দিনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো লাঠি খেলা।

জানা যায়, শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের শালফা গ্রামের মৃত জসিম উদ্দিন ও নুরু আকন্দ আগে খেলার আয়োজন করতেন। তারা মারা যাওয়ার পর শালফা গ্রামের মৃত আলতাফ আলীর ছেলে কমর উদ্দিন, মৃত সোনা উল্লার ছেলে এজার উদ্দিন ও মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে সাজাহান আলী প্রতি বছর এই লাঠি খেলার আয়োজন করেন। এতে গ্রামের সবাই সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে থাকেন।

এই খেলাটি গ্রামাঞ্চলে জনপ্রিয় হলেও সরকারি পৃষ্ঠপোশকতা না থাকায় তা এখন বিলীনের পথে প্রায়। লাঠি খেলা দেখতে আসা অনেকেই বলেন, আমরা ছোটবেলা থেকেই এই গ্রামে খেলা দেখতে আসি। পুরাতন অনেক খেলোয়ার মৃত্যু বরণ করায় এবং অর্থ সরবরাহ না থাকায় এখন আর আগের মত খেলা হয়না। তবুও এই খেলার কথা শুনলে আমরা ছুটে আসি খেলা দেখতে। এখন তবুও খেলা হচ্ছে। কমর, এজার, শাজাহান মারা গেলে আমাদের আগামী প্রজন্ম হয়তবা লাঠি খেলা কি এটা বুঝবেই না।

আয়োজনকারী কমর উদ্দিন ও সাজাহান আলী বলেন, এখনকার ছেলেরা লাঠি খেলা কি এটাই যানেনা। অনেক কষ্টে আমরা এই খেলার আয়োজন করেছি। মানুষ এত টাকা আজে বাজে খরচ করে কিন্তু আমাদের খেলার জন্য কেউ এগিয়ে আসেনা। সরকার যদি এই খেলার প্রতি দৃষ্টি দিত তাহলে ফুটবল ক্রিকেটের মত অনেক জনপ্রিয় হতো এই লাঠি খেলা।

এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ময়নুল ইসলাম বলেন, গ্রামীন ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খেলাধুলা ধরে রাখতে সরকার নানা পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন। তাই বিভিন্ন দিবসে আমরা লাঠি খেলাসহ গ্রামীন অন্যান্য খেলার আয়োজন করে থাকি। যদি কেউ গ্রামাঞ্চলে এই ধরনের খেলার আয়োজন করে থাকেন তারা আমাদের জানালে সর্বাত্বক সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ