ষ্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ায় মুদী ব্যবসায়ী ২৮ বছর বয়সী রাকিবুল হাসান ওরফে হৃদয় হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাদ্দাম হোসেন স্বাধীন (২৪) আদালতে আত্মসমপর্ণ করেছেন। রোববার জেলার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক আহমেদ শাহরিয়ার তারিক। প্রধান আসামি স্বাধীন শহরের ধাওয়াপাড়া এলাকার আবদুস সাত্তার ওরফে টিয়া মিয়ার ছেলে। হত্যাকাণ্ডের একবছরেরও বেশি পলাতক থাকার পর তিনি আদালতে আত্মসমপর্ণ করেন।
বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছেন বগুড়া আদালতের ইন্সপেক্টর সুব্রত কুমার ব্যানার্জি। তিনি জানান, রাকিবুল হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত নিজে থেকে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। এই ঘটনায় স্বাধীনসহ ৫ জনকে অভিযুক্ত করে ইতিমধ্যেই তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। হত্যার ঘটনায় আরেক অভিযুক্ত রাব্বি কারাগারে আছেন। এছাড়াও শাকিলসহ মতিন নামের দুইজন জামিনে আছেন ও আরেক অভিযুক্ত আশিক এখনও পলাতক।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২০ জুলাই (ঈদুল আজহার আগের রাত) মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের পূর্ব বগুড়া নারুলী কৈ-পাড়া পুকুরপাড় এলাকায় ছুরিকাঘাত করা হয় রাকিব হৃদয়কে। তাকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসলে তার বাবা মামুনুর রশিদকেও ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। পরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রাকিবুল। আর ১৫ দিন চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরেন মামুনুর। ছেলে হত্যার এই ঘটনায় ২৩ জুলাই মা আয়েশা সিদ্দিকা বগুড়া সদর থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামী করা হয় স্বাধীনকে। অন্য আসামীরা হলেন, আশিক (২২), রাব্বি (২৪), শাকিল (২৩) ও মতিন (২৫)।