বন্ধুদের সমর্থন ছাড়া সরকারের ক্ষমতায় থাকা কঠিন : ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা অফিস : বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সমর্থন ছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতায় টিকে থাকা কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ মঙ্গলবার (০৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন সভাপতি এসএম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসানের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীদের নিয়ে শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, অভিন্ন নদীর পানি বন্টন সমস্যা, সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিকদের হত্যাসহ ভারতের সাথে আমাদের যে অভিন্ন সমস্যাগুলো আছে সেগুলোর সমাধান এই আওয়ামী লীগ সরকার এখন পর্যন্ত করতে পারেনি। ওদের পেছনে জনগণের সমর্থন নেই -সেটাই হচ্ছে বড় কারণ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, উনি (শেখ হাসিনা) তো প্রত্যেকবার গেছেন। আমাদেরকে অনেক আশা দিয়ে গেছেন-এই তিস্তা চুক্তি সই হবে, ওমুক হবে, তমুক হবে -সেটা এখন পর্যন্ত কোনোটাই হয় নাই। জনগণ যদি এই সরকারকে সমর্থন দিত, তাহলে প্রত্যেকটি কাজই ইতোমধ্যে হয়ে যেত। উনি ফিরে আসুন, কী কী আনছেন বাংলাদেশের মানুষের জন্য- সেটাই হবে এই সফরের সাফল্য।

ভারতের পালাম বিমানবন্দরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে একজন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন- বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। কারণ এখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আগের বক্তব্যগুলো এবং এই সরকারের বেশিরভাগ মন্ত্রীদের যে বক্তব্য তাতে এটা খুব স্পষ্ট যে- ওরা (ভারত) যেভাবেই রিসিভ করুক, তারা যাবে এবং সেটা নিয়ে তাদের খুব একটা সমস্যা থাকবে না।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এই সরকার একেবারে একটা নতজানু সরকার। বন্ধুদের সমর্থন ছাড়া এই সরকারের টিকে থাকা কঠিন আছে। কারণ, বন্দুক-পিস্তল নিয়ে এবার তাদের টিকে থাকা কঠিন হবে। তারা চাইবে যে, সামনে নির্বাচনের আগে সেইটাকে যদি কোনো রকমে আরও শক্তিশালী করতে পারে।

মিয়ানমার প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, মিয়ানমার বার বার বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে বিনষ্ট করে মর্টার-গোলা মারছে। কিন্তু সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণে একটি প্রতিক্রিয়া ছাড়া কোনোকিছু করার সাধ্য তাদের নেই।

নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, এই নির্বাচন কমিশনকে আমরা মানি না। আমরা বলেছি যে, এই কমিশনটাও সম্পূর্ণ বেআইনি ও অনৈতিক। সুতরাং এই কমিশন দিয়ে নির্বাচন হবে না। তারা কখনোই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না। সেই কারণে এই নির্বাচন কমিশন কী বললেন না বললেন- তাতে আমাদের জাতির খুব একটা যায়-আসে ন। নির্বাচন করতে হলে এখানে একটা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন হবে।

এ সময় বিএনপির আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী, আসাদুজ্জামান রিপন, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, নাজিম উদ্দিন আলম, কামরুজ্জামান রতন, আজিজুল বারী হেলাল, মীর সরফত আলী সপু, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, আকরামুল হাসান, মহানগর বিএনপির আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটির ১নং সহ-সভাপতি ইয়াছিন আলী, সংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ডা. জাহিদুল কবির জাহিদ, কাজী ইফতেখায়রুজ্জামান শিমুল, হারুন-অর রশিদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

গত ৪ সেপ্টেম্বর স্বেচ্ছাসেবক দলের ৫ সদস্যের আংশিক কমিটি অনুমোদন দেয় বিএনপি।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ