পোড়া বেগুন-ভর্তা

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ গরম ভাতের সঙ্গে নানারকম ভর্তার জুড়ি মেলা ভার। আর বাঙালিদের কাছে বেগুন ভর্তা অতি পরিচিত একটি খাবার। গরম ভাতের সঙ্গে বেগুন ভর্তার স্বাদের কথা জানতে চাইলে অনেকেই বলবেন, এটা অসাধারণ বা এর তুলনাই হয় না। বিশেষত ভর্তা প্রেমীরাতো ভর্তা দিয়েই প্লেট ভর্তি ভাত নিমিষেই শেষ করে ফেলেন। এক বেগুনই ভর্তা করা যায় নানাভাবে। তেমনই একটি লোভনীয় পদ হলো পোড়া বেগুনের ভর্তা।

এটা এমনই এক ভর্তা যে, খেয়ে মন ভরে না। ইচ্ছে করে আরও খেতে তা পেটে জায়গা থাকুক বা না থাকুক। তবে একেকজন একেক স্টাইলে ভর্তা করে থাকেন। যেমনসিদ্ধ, ভাজা, পোড়ানো ইত্যাদি। সবগুলোই মজার তবে পোড়া বেগুন ভর্তার আলাদা একটা কদর আছে।

নাম বেগুন কিন্তু তাতে রয়েছে অজস্র গুণ। বেগুন ভাজা, বেগুন পোড়ার সাথে সাথে বেগুনের ভর্তা বেশ জনপ্রিয় বাঙালি খাবার। তবে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় বেগুন ভর্তা খাওয়া হয়। তবে জায়গার এবং অঞ্চলভেদে তৈরির পদ্ধতি খানিকটা আলাদা থাকে। বেগুন-ভর্তা-রেসিপি জানার আগে একটু জেনে নেওয়া দরকার আপনি সবজিটি কেন খাবেন? কি আছে এর মধ্যে?

বেগুনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম। যা নখের ভঙ্গুরতা রোধ করে। একথায়, শুষ্ক ত্বকের জন্য বেগুন খুবই উপকারী। ঠোঁটের কোণে ঘা সারাতে, ঋতুস্রাবের সমস্যা সমাধানে, হজম শক্তি বাড়াতে, চুল, নখ এবং ত্বককে মজবুত করতে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে, মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটাতে এমনকি ক্যান্সার প্রতিহত করতে এই সবজিটির জুড়ি মেলা ভার। নিয়মিত বেগুন খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়। বেগুনে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে, যা রক্ত বাড়াতে সাহায্য করে।

উপকরণ:

বেগুন – ৫০০ গ্রাম

পেঁয়াজ – তিন/চারটি

শুকনা মরিচ – ১০/১২টি

ধনে পাতা কুচি – দুই টেবিল চামচ

সরিষা তেল – দুই টেবিল চামচ

লবন – স্বাদমত

প্রণালী:

বেগুন মাঝখান থেকে ছুরি দিয়ে সামান্য কেটে নিয়ে তাতে তেল মাখিয়ে চুলায় কম আচে পুড়িয়ে নিন। পোড়া বেগুনের খোসা ফেলে দিয়ে ছোট ছোট করে কেটে নিন। পেঁয়াজ কিউব করে কেটে নিয়ে শুকনা মরিচ ছোট করে কেটে লবন দিয়ে একসঙ্গে চটকে নিন। পরে পেঁয়াজ, ধনেপাতা কুচি, তেল আলতো হাতে মাখিয়ে নিন। ব্যাস তৈরি মজাদার বেগুন ভর্তা।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ