এক লাড্ডু ৬১ লাখ টাকা

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ গণেশ চতুর্থী (গণেশের বাৎসরিক পূজা-উৎসব) উপলক্ষে ভারতের বিভিন্ন শহরে লাড্ডুসহ মিষ্টান্ন জাতীয় বিভিন্ন খাবার তৈরি করা হয়। কিন্তু সেই লাড্ডু আবার নিলামে ওঠে, যার দামও হাঁকা হয় কয়েক লাখ টাকা, বিষয়টি হয়তো অনেকেরই অজানা। সম্প্রতি এমনই এক লাড্ডু বিক্রি হয়েছে হায়দ্রাবাদে। নিলামে যার দাম ওঠে প্রায় ৬১ লাখ টাকা।

গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে প্রতি বছর হায়দ্রাবাদের লাড্ডুর নিলাম করা হয়। গত শনিবার হায়দ্রাবাদের মারাকাথা প্যান্ডেলে একটি লাড্ডুর ৪৫ লাখ টাকায় নিলাম হয়। এরপর রিচমন্ড ভিলায় ৬০ লাখ ৮০ হাজার টাকা দাম ওঠে এক লাড্ডুর।

জানা যায়, এ বছর বালাপুর লাড্ডু বিক্রি হয়েছে ২৪ লাখ ৬০ হাজার টাকায়। ওই লাড্ডুর ওজন ছিল ২১ কেজি। ১ হাজার ১১৬ টাকা থেকে শুরু হয় ওই লাড্ডুর নিলাম। দাম চড়তে চড়তে সেটি গিয়ে দাঁড়ায় ২৬ লাখ ৬০ হাজার টাকায়। অন্যদিকে, মারাকাথায় লাড্ডু বিক্রি হয় ৪৫ লাখ টাকায়। কিন্তু এ বছর সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে রিচমন্ড ভিলা-সান সিটি। প্রায় ৬১ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে গণেশের লাড্ডু।

১৯৯৪ সাল থেকে হায়দ্রাবাদে লাড্ডুর এই নিলাম চলে আসছে। ওই বছর কোলান মোহন রেড্ডি নামে স্থানীয় এক কৃষক ৪৫০ টাকায় নিলামে ওঠা গণেশের লাড্ডু কিনেছিলেন। কিন্তু এত বছর ধরে চলে আসা এই লাড্ডু নিলামের প্রথা কোনোদিন ২০ লাখের ঘর পেরোয়নি। তবে এ বছর সব রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে। আসলে স্থানীয়দের বিশ্বাস, গণেশের লাড্ডু সৌভাগ্য, স্বাস্থ্য এবং সমৃদ্ধি বয়ে আনে। এই লাড্ডু নিলামের মধ্য দিয়েই গণেশ বিসর্জনের সূচনা হয়।

সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রিচমন্ড ভিলা-সান সিটির বাসিন্দা ডা. সাজি ডি’সুজা জানিয়েছেন, এই লাড্ডু কেনার জন্য প্রায় ১০০ জন একত্রিত হয়েছিল। সেখানে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ সব ধর্মের মানুষ ছিলেন। ২৫ হাজার থেকে শুরু হয় ওই লাড্ডুর নিলাম। দাম উঠতে উঠতে ৬০ লাখ ৮০ হাজার টাকায় পৌঁছায়। রিচমন্ড ভিলায় আরভি দিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট রয়েছে, যা ১৭টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের অর্থ দিয়ে সাহায্য করে। এবারেও নিলামের এই টাকা যাবে ওই চ্যারিটেবল ট্রাস্টের কাছে। অন্যদিকে, বালাপুরে লাড্ডু নিলামের টাকা বালাপুরের উন্নয়নের কাজ ব্যবহার করা হয়।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ