নীলফামারীতে ব্রীজের অভাবে ৩ গ্রামের মানুষের ভোগান্তি

নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জেলা সদরের পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের কোরানী পাড়া ঘাটে যমুনেশ্বরী নদীর উপর ব্রীজ না থাকায় ৩ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার  মানুষকে দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এলাকাবাসির উদ্যোগে  বাঁশের সাঁকো তৈরী করে তা  দিয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হতে হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যমুনেশ্বরী নদীর কোরানীপাড়া ঘাটে ব্রীজ না থাকায়  এলাকাবাসি নিজ উদ্যোগে একটি  বাঁশের সাঁকো নির্মান করে চলাচল করছে। এই সাঁকোটি হলো উত্তরাশশী, কালিয়াল খাতা ও উত্তর কানিয়াল খাতা গ্রামের বাসিন্দাদের নীলফামারী জেলা শহরে যাওয়ার একমাত্র  সড়ক। সাঁকোর পূর্ব দিকে রয়েছে উত্তরা শশী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিমে রয়েছে উত্তর কানিয়াল খাতা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়, কানিয়াল খাতা মাদ্রাসা, কানিয়াল খাতা প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বিনোদন কেন্দ্র ওসমানিয়া উদ্যোন। প্রতিদিন শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন পেশার হাজারো মানুষজনকে এই সাঁকোর উপর দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। বর্ষার সময় নদীর পানির ¯্রােতে বাঁশের সাঁকো ভেঙে ভেসে যায়, তখন কলা গাছের ভেলা বানিয়ে পার হতে হয় পথচারীদের। দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসি এমন ভোগান্তির পোহালোও জনপ্রতিনিধিরা শুধু আশ্বাসেই দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান এলাকাবাসির ।

উত্তর কানিয়াল খাতা বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেণীর শিক্ষার্থী মারুফ হোসেন,৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রাশেদ মিয়া বলেন,আমরা অনেক কষ্ট করে এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে থাকি। বর্ষার সময় কলার ভেলায় পার হতে হয়। অনেক সময় বই খাতা নদীতে পরে ভিজে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা লাল বাবু,কৃপা রায়,আব্দুল ওহাব,মিজানুর রহমান বলেন, কত লোক আইসে লেখে আর মাপি যায় হামার কপালোত আর ব্রীজ হয়না। মেম্বার-চেয়ারম্যানরা সহ ব্রীজ করে দিবে বলে কথা দেন, কিন্তু কেউ কথা রাখে না।
নীলফামারী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সুজন কুমার বলেন বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই. খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্যোগ নিবো

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ