শীতকালের সুস্বাদু গোকুল পিঠা

শীতে পিঠার তালিকায় থাকে নানা নকশা আর স্বাধের পিঠা। একেকটি পিঠার আবার একেক রকম নাম। গোকুল পিঠার নাম হয়ত শুনেছেন? এটি খেতে কিন্তু ভীষণ সুস্বাদু। গোকুলপিঠা পিঠা বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবাংলায় প্রচলিত। গোকুলপিঠা মধ্যযুগ থেকে বাংলায় প্রচলিত পিঠা সমূহের অন্যতম।

জন্মাষ্টমী ও সংক্রান্তির সময় এটি প্রধানত বানানো হয়ে থাকে। ক্ষীর বা নারকোল ও ক্ষীরের মিশ্রণ পুর হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই পিঠা তৈরির পদ্ধতিও বেশ সহজ। রেসিপি জানা থাকলে আপনিও ঝটপট তৈরি করে ফেলতে পারবেন।

তৈরি করতে যা লাগবে

কোড়ানো নারিকেল, গরুর দুধ, চিনি, তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ, কিছমিছ, লবঙ্গ, ময়দা।

তৈরি করবেন যেভাবে

প্রথমে একটি পাত্রে পরিমাণমতো গরুর দুধ নিন। এরপর তাতে দিন দারুচিনি, তেজপাতা, এলাচ, কিশমিশ ও পরিমাণমতো চিনি। এবার জ্বাল দিয়ে সামান্য ঘন করে নিন। ঘন হয়ে এলে দুধের পাত্রটি নামিয়ে নিন। এবার অন্য একটি পাত্রে অল্প তেল দিয়ে তাতে দুটি তেজপাতা, দারুচিনি এলাচ ও লবঙ্গ দিন। এরপর তাতে দিন কোড়ানো নারিকেল ও পরিমাণমতো চিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। অনবরত নাড়তে থাকুন। নারিকেলের মিশ্রণটি আঠালো হয়ে এলে নামিয়ে নিন।

এবার অন্য একটি পাত্রে পরিমাণমতো ময়দা ঘন করে গুলিয়ে রাখুন। চুলায় কড়াই দিয়ে তাতে পরিমাণমতো তেল দিন। নারিকেলের মিশ্রণ ঠান্ডা হলে সেখান থেকে কিছুটা করে মিশ্রণ নিয়ে গোল চপের মতো তৈরি করে ময়দার গোলায় চুবিয়ে তেলে ছাড়ুন। হালকা আঁচে ভালোভাবে ভেজে তুলুন। এরপর ঘন করে জ্বাল দেওয়া দুধে পিঠাগুলো দিয়ে দিন। সবগুলো পিঠা এভাবে ভিজিয়ে রাখবেন। এরপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন ঘণ্টা দুয়েকের জন্য। এতে পিঠাগুলো ভালোভাবে ভিজে ফুলে উঠবে। এরপর পরিবেশন করুন। ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে খেলেও ভালো লাগবে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ