গোলাগুলির পর শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ড, ক্যাম্প ছাড়ছে রোহিঙ্গারা

বান্দরবানের ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। পরে এমএসএফ এর হাসপাতাল থেকে এক রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ১২ বছরের এক শিশুসহ আরও দুইজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন ওই হাসপাতালে।

নিহত ব্যক্তি বালুখালী ক্যাম্পের হামিদ উল্লাহ এবং আহতরা হলেন- টেকনাফের জাদিমুড়া ক্যাম্প ২৬ এর মুহিব উল্লাহ ও ঘুমধুম জিরো পয়েন্টের শিশু মো. হোসন।

কক্সবাজারের উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে উখিয়ার এমএসএফ হাসপাতাল থেকে গুলিবিদ্ধ তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে একজন মারা গেছেন। নিহত রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুইজন চিকিৎসাধীন।

স্থানীয় ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, সকালে নো ম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাই। কারা গোলাগুলি করেছে সেটি নিশ্চিত নয়।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার ভোর থেকে হঠাৎ মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীসান্তের নো ম্যান্স ল্যাল্ডের কোনার পাড়া ক্যাম্পের ভিতর এবং মিয়ানমার সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার ভিতর থেকে গোলাগুলি করে।

গণমাধ্যমের কাছে আসা ছবিতে নিহতের গায়ে আরএসও নামে এক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর পোষাক দেখা গেছে। সীমান্ত এলাকার লোকজনের ধারণা দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনাটি ঘটেছে।

এদিকে বিকেলে শূন্যরেখা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এসময় সেখানে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের অনেকেই ঘুমধুম স্কুলে আশ্রয় নেন।

তবে এই ঘটনা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, শূন্যরেখা রোহিঙ্গা শিবিরে আগুন লাগায় নারী শিশুসহ ৩০ জনের মতো রোহিঙ্গা নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের আশ্রয় নেন। পরে তাদের সেখান থেকে তুমব্রু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে যায় স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, গুলাগুলির ঘটনায় সীমান্তে বসবাসরত অনেকে গৃহপালিত পশু সহ অন্যত্রে সরে যান।

জানা যায়, তুমব্রুতে শূন্যরেখায় স্থাপিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২০১৭ সালের পর থেকে চার হাজার ২৮০ রোহিঙ্গা বসবাস করছিল।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ