বগুড়ায় নিরাপদ অভিবাসন ও দক্ষতা উন্নয়ন শীর্ষক সেমিনার

lষ্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ায় বুধবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস বগুড়ার আয়োজনে ‘নিরাপদ অভিবাসন ও দক্ষতা উন্নয়ন’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসন বগুড়ার সহযোগিতায় উক্ত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীনেশ সরকার এবং প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা প্রশাসক  সাইফুল ইসলাম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক দেশের অর্থনীতিতে অভিবাসীদের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ কওে অভিবাসীদের উপার্জিত অর্থের সঠিক বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন টিটিসি বগুড়ার অধ্যক্ষ সুশান্ত কুমার রায়। এছাড়াও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লি. বগুড়ার ইভিপি ও জোনাল চিফ রেজাউল ইসলাম সকলকে বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্স প্রেরণের বিষয়ে রেমিটেন্স ব্যবস্থাপনা ও প্রণোদনার কথা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আতিকুর রহমান। সেমিনারে মূল প্রবন্ধে নিরাপদ অভিবাসন ও দক্ষতা উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা ও উপায় তুলে ধরা হয়। আতিকুর রহমান মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে অভিবাসীকর্মীদের রেমিটেন্সযোদ্ধা হিসেবে আখ্যায়িত করে বগুড়া জেলার অভিবাসনের চিত্র উপস্থাপন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ২০০৫ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বগুড়া জেলা থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ১,২৮,৬৬৬ জন অভিবাসী হয়েছেন।  বৈদেশিক অভিবাসনের ক্ষেত্রে বগুড়া জেলার অবস্থান ৬৪ জেলার মধ্যে ২৩ তম। উত্তরবঙ্গের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ জেলার মধ্যে বৈদেশিক অভিবাসনে বগুড়াই সবার উপরে। রেমিটেন্স আহরণে শীর্ষ ৭ দেশের এক দেশ বাংলাদেশ। করোনাকালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অনেক সূচক যখন নিম্নমুখী ছিল তখনও রেমিটেন্স ছিল উর্ধমুখী। কাজেই এ কথা স্পষ্ট যে অভিবাসীর ঘামের টাকা, সচল রাখছে দেশের চাকা। সেই সাথে সবাইকে এটিও স্মরণ করিয়ে দেয়া হয় ‘নিরাপদ অভিবাসন যেখানে টেকসই উন্নয়ন সেখানে’ এবং ‘দক্ষ হয়ে বিদেশ গেলে, অর্থ সম্মান দুইই মেলে’। দিনব্যাপী এই সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন বগুড়া জেলার বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকতা, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, ব্যাংক কর্মকর্তা, ম্যান পাওয়ার রিক্রুটিং এজেন্সি, আটাব, টোয়াব ও হাবপ্রতিনিধি, এনজিও ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ অনেকে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ