সাত্তারের প্রতিদ্বন্দ্বী মৃধাও সরে দাঁড়ালেন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে নাটকীয়তা অব্যাহত রয়েছে। এই আসনে জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধার সরে দাঁড়িয়েছেন- এমন একটি লিখিত বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর নাগাদ মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তিনি প্রথমে সিংহ পরে আপেল প্রতীক বরাদ্দ পান।

এই আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন বিএনপির উকিল আব্দুস সাত্তার। দলীয় সিদ্ধান্তে গত ডিসেম্বরে তিনি সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। এই আসনের উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী দেয়নি। বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, উকিল আব্দুল সাত্তারকে জিতিয়ে সংসদে নিতেই ক্ষমতাসীন দলের এই কৌশল। এই অভিযোগ আরও জোরালো করে স্বতন্ত্র হিসেবে ভোটে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগ নেতাদের সরে যাওয়া।  এরপরও থেমে থাকেনি নাটকীয়তা। বদল করা হয় দুই মূল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রতীক। সবশেষ প্রচারে নেমেও একজনের সরে দাঁড়ানো সেই নাটকীয়তায় নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। আসনটিতে এখন জাতীয় পার্টির প্রার্থীসহ চারজন লড়াই করবেন। এর মধ্যে একজন জাকের পার্টির এবং দুজন স্বতন্ত্র হয়ে লড়বেন। এই আসনের প্রার্থী আবদুস সাত্তার ভূইয়া প্রথমে দলীয় সিদ্ধান্তে সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে তিনি প্রার্থী হন। এরপর দল তাকে বহিষ্কার করে। তিনি প্রথমে ডাব প্রতীক বরাদ্দ পান। ডাব দলীয় প্রতীক হওয়ায় তাকে ‘কলার ছড়া’ বরাদ্দ দেওয়া হয়। কলার ছড়া নিয়ে গত সংসদ নির্বাচনে সাত্তারের কাছে সামান্য ভোটে হেরেছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মঈন উদ্দিন মঈন।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ