দেশ ডিজিটাল থেকে এখন স্মার্ট বাংলাদেশের পথে:ঢাবি উপাচার্য

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ ‘বঙ্গবন্ধু একটি অসাম্প্রদায়ীক স্বনির্ভর বাংলাদেশ গঠনে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তারই কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এদেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশ এখন স্মার্ট বাংলাদেশের পথে এগুচ্ছে।’

শুক্রবার বরগুনার পাথরঘাটা ঐতিহ্যবাহী মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮০ বছর পুর্তি ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওই বিদ্যালয়ের ছাত্র ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড.আক্তারুজ্জামান অরুন এ কথাগুলো বলেন। কালমেঘা মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফারজানা সবুর রুমকির সভাপতিত্বে সভায় বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা এই স্কুলের স্মৃতিচারণ করেন। ঐতিহ্যের স্বাক্ষী এ বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আরও বলেন, একটি ভালো কথা এবং ভালো ব্যবহার টনিকের মতো কাজ করে। আমরা শিক্ষকদের দেখে মাথানত করে ছালাম-আদাব দিয়েছি। আমি এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। এই বিদ্যাপীঠ থেকে আমি-ই শুধু নয় ; অসংখ্য শিক্ষার্থী মন্ত্রনালয়ের সচিব উপসচিব সহ দেশের গুরত্বপূর্ণ নানা পদে কর্মরত রয়েছেন।

বরগুনার পাথরঘাটা মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮০ বছর পুর্তি ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উদযাপন উপলক্ষে এই প্রথম এমন জমকালো আয়োজন। অনুষ্ঠানে রাতের কনসার্টে থাকবেন বাংলাদেশের ফোকগানের সম্রাজ্ঞী মমতাজ এমপি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সুলতানা নাদিরা (সংরক্ষিত আসন, বরগুনা-ঝালকাঠী),বিশেষ অতিথি হিসেবে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব নজরুল ইসলাম মিঠু, চ্যানেল আইয়ের এসেইন্টম্যান এডিটর তারিকুল ইসলাম মাসুম, এই বিদ্যালয়ের সাবেক প্রবীন শিক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেন ও এই বিদয়ালয়ের প্রবীণ শিক্ষার্থী মোঃ এমদাদ আলী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু জাফর ছালেহ্, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম হাওলাদার সহ এই বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এবং বিভিন্ন রাজনীতিক,সামাজিক প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে স্বস্ত্রীক উপাচার্য ড. আক্তারুজ্জামান অরুন তার শিক্ষা ও পারিবারিক জীবনের নানা স্মৃতি তুল ধরেন। একইসঙ্গে এই বিদ্যালয়ে বৃত্তিমূলক একটি ফান্ড তৈরি করে দেয়ার কথাও ঘোষনা দেন। যেখানে প্রতিবছর মেধাবী ও দরিদ্রদের জন্য বৃত্তি দেয়া হবে এবং বাধ্যতামুলক প্রতিবছর একজন মেয়েকে বৃত্তির আওতায় আনতে হবে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ