স্টাফ রিপোর্টার: মাঘের মিঠে রোদ মেখে বিকেলের পরই সাংস্কৃতিক মননের মানুষের জনস্রোত শুরু হয় বগুড়ার শহীদ টিটু মিলনায়তনে। সন্ধ্যার পর তা পরিণত হয় মা, মাটি আর দেশ মাতৃকার ভালবাসার মানুষের মিলন মেলায়। দীর্ঘ এক অনুষ্ঠানে মানুষের এতটুকু ক্লান্তি ছিল না।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) বগুড়ার শহীদ টিটু মিলনায়তনে ২য় দিনের সমাপনী অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল বগুড়ার কবিদের স্বরচিত কবিতাপাঠ এবং বগুড়ার নতুন ও তরুণ ও প্রবীন শিল্পীদের পরিবেশনায় গান এবং নাচ। এরপরে বগুড়ার সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তৌফিক হাসান ময়নার সভাপতিত্বে সন্মাননা অনুষ্ঠান। সন্মনানা আয়োজনের আগে বগুড়ার তিনজন শিল্পী যারা এখন স্ব অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত, স্টেজে ওঠার পর তাদের গানে মুগ্ধ হয় প্রতিটি দর্শক।
করোনা মহামারি কাটিয়ে এমন একটি আয়োজন সবাইকে সকল মলিনতা কাটিয়ে উঠতে অনেকটাই উজ্জীবিত করেছে। এরমধ্যে বগুড়ার ছেলে মেজবা বাপ্পি সবাইকে দেশ এবং মাতৃকার নাড়ির টানকে আবারও নাড়িয়ে দিয়েছে তার গানে। মেজবা বাপ্পির গানের পরপরই শুরু হয় সেই ক্ষণ। যে ক্ষণে বগুড়ার কৃতি ও গুণী সন্তানদের সন্মাননা দেয়া হয়েছে। গত দুইদিনে এই অনুষ্ঠান থেকে প্রায় ৫০ জন গুণী মানুষকে সন্মাননা করা হয়েছে তাদের স্ব স্ব অবদানের জন্য। প্রধান অতিথি হিসেবে গুণী মানুষদের হাতে সন্মাননা তুলে দেন বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠানে সন্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডাঃ মকবুল হোসেন, দৈনিক করতোয়া সম্পাদক মোজাম্মেল হক, বগুড়া ইয়্যুথ কয়্যারের পরিচালক তৌফিকুল আলম টিপু, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সংগঠক মাহাবুব হামিদ তারা, সঙ্গীত পরিচালক মইনুল ইসলাম খান, কবি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আকতারুজ্জামান ডিউক, চিত্রগ্রাহক নূরুল আলম বাদল, বিআইআইটি’র প্রতিষ্ঠাতা প্রকৌশলী সাহাবুদ্দিন সৈকত, ব্যবসায়ী নেতা এ্যাডনিস বাবু তালুকদার, বাউল শিল্পী সুকুমার বাউল, সাংস্কৃতিক পৃষ্ঠপোষক জি এম সাকলাইন বিটুল, বগুড়া মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠু, পৌর কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, আর এম ইউনুস, বিশিষ্ট কন্ঠ শিল্পী নূরে আলম সজীব, সাইফুল ইসলাম, সঙ্গীত প্রশিক্ষক খোদাদাদ খান বাদশা।
সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে দৈনিক করতোয়া সম্পাদক মোজাম্মেল হক দু’দিনের এই আয়োজনের উদ্বোধক বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)এর চেয়ার অধ্যাপক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব চেয়ার ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। শেষে নাট্যাচার্য ড. সেলিম আল দীন রচিত ও তৌফিক হাসান ময়না নির্দেশিত নাটক ‘কীত্তনখোলা’ নাটক হয় এবং ও র্যাফেল ড্র’র মধ্য দিয়ে শেষ হয় বগুড়ার সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত তৃতীয়বারের মত দুইদিন ব্যাপি গুণীজন ও শিল্পী মহাসমাবেশ।