শীতে চর্মরোগ বৃদ্ধির কারণ ও সমাধান

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ শীতে চুলকানির সমস্যার সম্মুখীন হন কমবেশি সবাই। শীতকালীন চুলকানি বা উইন্টার ইচ হলো এক ধরনের ডার্মাটাইটিস বা ত্বকের জ্বালা। শীতে এই সমস্যা কমবেশি সবার ত্বকেই দেখা দেয়। বিশেষ করে ঠান্ডায় বাইরে বের হওয়ার পর ত্বকে শুষ্কতা, খসখসে ভাব বা লাল হয়ে যাওয়ার লক্ষণ দেখলে বুঝবেন আপনি শীতকালীন চুলকানি অনুভব করছেন।

শীতের চুলকানি বা উইন্টার ইচিং এর কারণ-

ঠান্ডা আবহাওয়া : বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠান্ডা ও শুষ্ক বাতাস ত্বকের উপরের স্তরের আর্দ্রতা চুষে নেয়। ফলে ত্বক ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। এর থেকেই ফুসকুড়ি, ত্বকের জ্বালাপোড়ার সমস্যা হয়। যাকে বলা হয় উইন্টার ইচ।

গরম পানির ব্যবহার : আবার অত্যধিক পানি ব্যবহারের কারণেও ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। বিশেষ করে করে গরম পানির ব্যবহার ত্বকের জন্য খুবই বিপজ্জনক।

অত্যধিক গরম পানি ব্যবহার করলে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল দূর হয়ে যায়। ফলে শুষ্কতা ও লালচেভাবের সৃষ্টি হয়। তাই শীতে নিয়মিত গরম পানিতে গোসলের অভ্যাস পরিবর্তন করুন।

সাবানের রাসায়নিক : কিছু সাবানে রাসায়নিক থাকে, যা আপনার ত্ববের জ্বালাভাব ও শুষ্কতা বাড়ায়। গরম পানির সঙ্গে যদি এসব রাসায়নিক মিশ্রিত সাবান ব্যবহার করেন তাহলে ত্বকের শুষ্কতা আরও বেড়ে যাবে।

তাপ : ঠান্ডা আবহাওয়ায় অনেকেই রুম হিটার ব্যবহার করেন। এতে ঘরের পরিবেশ বেশ গরম হয়ে যায়। এটি স্বস্তিকর হলেও এর ব্যবহারে ত্বকের শুষ্কতা বাড়ে। এর থেকে হতে পারে উইন্টার ইচ।

এই সমস্যা সমাধানে করণীয়-

শীতকালীন চুলকানির চিকিৎসার জন্য বেশ কয়েকটি বিকল্প উপায় আছে। জেনে নিন কী কী-

  • ঘন, সুগন্ধমুক্ত ক্রিম ব্যবহার করবেন না।
  • ত্বকের যে স্থানে বেশি চুলকানি অনুভব করবেন সেখানে ঠান্ডা, ভেজা কাপড় বা বরফের প্যাক ব্যবহার করুন।
  • গোসলের সময় হালকা গরম পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে ওই পানিতে গোসল করুন।
  • গোসলে সাবান ব্যবহারের বদলে হালকা ক্লিনজার বা সাবানমুক্ত পণ্য ব্যবহার করুন, যা ত্বকের তেল শুষে নেবে না।
  • গোসলের পর ত্বক ময়েশ্চারাইজ করুন। ত্বকের শুষ্কতা বা চুলকানি রোধে ভালোমানের লোশন ব্যবহার করুন।
  • চুলকানি-দমনকারী ক্রিমগুলো এড়িয়ে চলুন। এতে থাকা রাসায়নিক শীতের চুলকানিকে আরও খারাপ করতে পারে।
  • এর পরিবর্তে চুলকানি উপশম করতে ময়েশ্চারাইজারের সঙ্গে একটি ওভার-দ্য-কাউন্টার হাইড্রোকর্টিসোন ১% ক্রিম ব্যবহার করুন।
  • পোশাক নির্বাচনে সতর্ক থাকুন। সিল্ক ও সুতির মতো হালকা ওজনের পোশাক পরুন। ফ্ল্যানেল ও উলের পোশাক পরলে ত্বকের জ্বালাপোড়া ভাব বাড়তে পারে।
  • প্রচুর পানি পান করুন।
  • ঠান্ডা আবহাওয়া ও শুষ্ক বাতাসের মধ্যে বাইরে যাওয়ার সময় গ্লাভস, স্কার্ফ, টুপি ও গরম কাপড় ব্যবহার করুন ত্বকের সুরক্ষায়।
  • শীতকালেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
  • ওমেগা ৩, ভিটামিন এ, সি ও ই সমৃদ্ধ খাবার খান।
Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ