‘আব্দুস সাত্তার আ.লীগের ট্রাম্প কার্ড’

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে জয়লাভ করা প্রয়োজন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেছেন, সে (আব্দুস সাত্তার) আমাদের ট্রাম্প কার্ড। মিডিয়া নিউজও করতেছে, আওয়ামী লীগ এখন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে নিয়ে নামছে। তার মানে- আওয়ামী লীগের জিরোকে হিরো, আবার হিরোকে জিরো বানাতে পারে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো আন্দোলন-নির্বাচনে হারেনি, হেরেছে চক্রান্তের কাছে। কারণ আমাদের নেতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। প্রার্থীর জনমত নয়, আমাদের নৌকার জনমত। আওয়ামী লীগের জনমতই, আওয়ামী লীগের শক্তি। এটা কি বাকি আছে কারও জানতে? বাংলাদেশের সবাই জানে।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন মিলনায়নে আয়োজিত সাবেক এমপি ও বিএনপির বহিস্কৃত আব্দুস সাত্তার ভূইয়া সমর্থক গোষ্ঠির ব্যানারে এক কর্মী সভায় তিনি এই কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন বলেন, ‘১ তারিখ আপনার ওই নির্বাচনে মার্কা কী? কলার ছড়ি (ছড়া)। আমরা তো ওই প্রার্থীকে চিনি না। কলার ছড়ি (ছড়া) চিনি। আমরা শেখ হাসিনাকে চিনি। আপনি বোঝেন না। কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার রাজনীতি বোঝেন আপনি। বোঝেন? আমাদের এখানে কথা আছে, যার আক্কেল আছে, সে ইশারায় বোঝে। আর যে বেক্কল তারে ধাক্কা দিয়া বুঝাইতে হয়। নিজের সম্মান, দক্ষতা, নেতৃত্বের যোগ্যতা ও আগামী দিনের যদি স্বপ্ন থাকে, সেই স্বপ্নের বাস্তবায়নের জন্য এটি সেমিফাইনাল। এই সেমিফাইনালে জিততে হবে

তিনি বলেন, ‘আমরা ১ তারিখ (১ ফেব্রুয়ারি) জনগণের ভোটে জয় লাভ করব। সন্ধ্যার পরে খবর হবে, এখানে কলার ছড়ি জিতেছে। নৌকা জিতেছে। কলার ছড়ির অপর নাম নৌকা। এইটা মনে কইরাই চলবেন। দেখছেন না, লোক তো সব আওয়ামী লীগের। নাম দিছি সমর্থকগোষ্ঠীর। আসলে নাম তো বলা যায় না। আমারে জিজ্ঞেস করেছিল, ব্যানারে প্রধান অতিথির নাম কী দিব। আহমেদ হোসেনের নাম আছে এখানে। ভাসুরের নাম আসলে দেওয়া যায় না। কিন্তু সবই আমরা।’

আবদুস সাত্তারের সমর্থকগোষ্ঠীর ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মিসভায় সভাপতিত্ব করেন আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছফিউল্লাহ মিয়া।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি তাজ মো. ইয়াছিন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হান্নান, আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নাছের আহমেদ, সহসভাপতি আনিসুর রহমান, কেন্দ্রীয় স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শাহিন সিকদার প্রমুখ।

এ ছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা কর্মিসভায় উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে মঈন উদ্দিন ও শাহজাহান আলম এই উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। দলীয় সিদ্ধান্তে তারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।

এদিকে বেলা তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত সরাইল উপজেলা সদরের সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম মিলনায়তনে ‘উকিল আবদুস সাত্তারের সমর্থকগোষ্ঠী’র ব্যানারে কর্মিসভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল হোসেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিজয়ী হয়েছিলেন। গত ১১ ডিসেম্বর আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য হয়। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আবারও অংশ নিতে যাচ্ছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা আব্দুস সাত্তার ভূইয়া। তিনি এই আসনে ৫ বার এমপি ছিলেন।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ