যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সঙ্গে রাশিয়ার উত্তেজনা চরমে

বগুড়া  নিউজ ২৪ঃ ইউক্রেন ইস্যু ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সঙ্গে রাশিয়ার উত্তেজনা এখন চরমে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অন্যতম বড় প্রভাবক সামরিক জোট ন্যাটো। তবে এ নিয়ে বিতর্কও রয়েছে। গেল বছর ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ন্যাটো ইউক্রেনকে অস্ত্র ও প্রযুক্তি সরবরাহ করে আসছে। রাশিয়া বেশ কয়েকবার রেড লাইন জারি করেও পাত্তা পায়নি। সম্প্রতি রাশিয়ার এক সংবাদ মাধ্যম বলছে, ন্যাটো ঘোষণা করেছে, তারা রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তবে এ ধরনের কোনো সংঘাতের সম্ভাবনা দেখছে না যুক্তরাষ্ট্র।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ১৯৪৯ সালে উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট বা ন্যাটো প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুতে এর সদস্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রসহ ১১টি দেশ। বর্তমানে এর সদস্য দেশ ৩০টি। জোটটি গঠনের মূল উদ্দেশ্য ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন বা অন্য কোনো শক্তির হামলা থেকে ন্যাটো ভুক্ত দেশগুলোকে রক্ষা করা। অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনে ন্যাটোর একটি বড় ভূমিকা ছিল।

সবশেষ ইউক্রেন, সুইডেন ও ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যোগ দিতে চায়। ন্যাটো যেহেতু তাদের সদস্য দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, তাই ইউরোপের অনেক দেশ এই জোটে যোগদানে আগ্রহী। তবে রাশিয়া এটিকে প্রথম থেকেই হুমকি হিসেবে দেখছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই পুতিন বলেন, ন্যাটোর সম্প্রসারণ বন্ধ করতে হবে। পুতিন দাবি করেন, ন্যাটো ইউরোপের পূর্বদিকে আর অগ্রসর হবে না এমন প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল, যা তারা মানেনি।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ন্যাটো সদস্য দেশগুলো ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করতে থাকে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন পুতিন। সবশেষ ইউক্রেনে জার্মানি ও পশ্চিমাদের উন্নত প্রযুক্তির ট্যাংক সরবরাহ নিয়ে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। রাশিয়া এর প্রতিক্রিয়ায় বলে বিশ্ব একটি বিপর্যয়কর পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে। এমনকি কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা ক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্রগুলো এখনও ব্যবহার করেনি। তবে পশ্চিমারা পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করলে সেসব অস্ত্র ব্যবহার করতে বাধ্য হবে রাশিয়া।

এদিকে, ইউক্রেন ইস্যু ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক তিক্ততার চরম পর্যায়ে পৌঁছালেও, কোনো সংঘাতের সম্ভাবনা দেখছে না হোয়াইট হাউস। মার্কিন প্রতিনিধি জন কিরবি এক বিবৃতিতে বলেন, ন্যাটোর সঙ্গে রাশিয়ার সংঘাতের কোনো সম্ভাবনা বর্তমানে বা নিকটা ভবিষ্যতে খুব একটা নেই।

তবে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে প্রস্তুত ন্যাটো। এমনটি জানিয়েছেন জোটের সামরিক কমিটির চেয়ারম্যান রব বাউয়ার। ইউক্রেনে পশ্চিমা দেশগুলোর দেওয়া আধুনিক অস্ত্র সরবরাহ বাড়াবাড়ি নয় বলেও দাবি করেন রব।

তিনি বলেন, রাশিয়া কোনো ঘোষণা ছাড়াই যুদ্ধ শুরু করেছে। তাই ন্যাটোও সব ধরনের সহযোগিতা ও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের পাল্টাপাল্টি অবস্থান যুদ্ধ পরিস্থিতিকে অনেক বেশি তীব্র করে তুলবে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮