টাকা দিবস

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ ৪ মার্চ টাকা দিবস। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে প্রথম উদযাপিত হয় টাকা দিবস। ১৯৭২ সালের ৪ মার্চ প্রথমবারের মতো স্বাধীন বাংলাদেশের নিজস্ব ১ ও ১০০ টাকার ব্যাংক নোটের প্রচলন হয়। এটিই ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ব্যাংক নোট।

স্বাধীন বাংলাদেশের মুদ্রার নাম রাখা হয় টাকা। বিশ্বের কয়েকটি দেশের মুদ্রার নাম একই ধরনের। তবে বাংলাদেশের মুদ্রা হিসেবে টাকা নামটি স্বতন্ত্র। ৪ মার্চ ১৯৭২ তারিখে প্রকাশিত দুটি ব্যাংক নোট ভারতের সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস থেকে ছাপানো হয়।

বাংলাদেশের প্রথম টাকা ও কয়েনের নকশাকার শিল্পী কে জি মুস্তাফা। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ডাকটিকিটসহ আরও গুরুত্বপূর্ণ স্মারকের নকশাকারও তিনি। ১, ১০০ টাকার পর ৫ টাকার নোটও চালু হয় ১৯৭২ সালের ৪ মার্চ। ওই বছর ২ মে চালু হয় ১০ টাকা মূল্যমানের নোট। এসব নোটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সংবলিত ছিল। দেশে প্রথম ধাতব মুদ্রা চালু হয় ১৯৭৩ সালের ১৫ জুলাই। ১ পয়সার এই মুদ্রা বিদেশ থেকে আনা হয়।

বাংলাদেশের প্রথম কাগজি টাকা প্রচলনের ঐতিহাসিক দিনটিকে স্মরণীয় করতে টাকা দিবস পালন করা হয়। ২০২১ সালের ৪ মার্চ মুদ্রা সংগ্রাহকদের সঙ্গে নিয়ে দিবসটি পালনের প্রথম উদ্যোগ নেয় কালেক্টার। স্বাধীনতার পর অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে দ্রুততার সঙ্গে নোট ও ধাতব মুদ্রা চালু করা হয়। তবে ভারত থেকে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে নোট মুদ্রণের কারণে সেসময় নিরাপত্তা জলছাপসহ কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করা সম্ভব হয়নি।

পরবর্তী সময়ে সুইজ্যারল্যান্ড, কোরিয়া, জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়া থেকেও বাংলাদেশের নোট ছাপা হয়। আর দেশে প্রথমবারের মতো নোট ছাপা হয় ১৯৮৮ সালে টাকশাল স্থাপিত হওয়ার পর।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ