আরও বাড়ল মাংসের দাম

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ বাজারে আরেক দফা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি, সোনালি মুরগি ও গরুর মাংসের দাম। খাসির মাংসেও লেগেছে দামের বাড়তি আঁচ। চাল, ডাল, চিনি, সয়াবিনসহ বাজারে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল রয়েছে। রাজধানীর মালিবাগ ও সেগুনবাগিচা বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, এক থেকে দেড় মাস ধরে মুরগির মাংসের বাজারে অস্থিরতা চলছে। এক মাসের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম আবারও বেড়েছে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এখন ব্রয়লার মুরগির দাম পড়ছে কেজিতে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা, এক মাস আগে যা ছিল ২০০ থেকে ২১০ টাকার মধ্যে। সোনালি মুরগির দাম এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে প্রতি কেজি ৫০ টাকা। ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া সোনালি মুরগি গতকাল বিক্রি হয়েছে ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা।

মূল্যবৃদ্ধির জন্য বড় খামারিদের দায়ী করছেন ক্ষুদ্র খামারিরা। বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, দেশে মুরগির বাচ্চা ও খাদ্য উৎপাদন করে অল্প কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। তারাই আবার ‘কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের’ মাধ্যমে মুরগি উৎপাদন করছে। ক্ষুদ্র খামারিদের হাত থেকে বাজারটা তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ায় তারা একতরফাভাবে দাম বাড়িয়ে রাখছে। এ অবস্থায় সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে ক্ষুদ্র খামারিদের আবার উৎপাদনে ফেরানো গেলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে। এদিকে শবে বরাতের আগেই বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। তবে কোথাও কোথাওদাম  ছিল আরেকটু কম। এক মাস আগে গরুর মাংস কেজিতে বেড়েছিল ৫০ টাকা। আর এক মাস আগে খাসির মাংস দরদাম করে ১ হাজার টাকায় কেনা যেত। সেটা এখন প্রতি কেজি ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকার নিচে কেনা যাচ্ছে না। মাছ ও সবজির বাজারের উত্তাপ একটু কমলেও তা নিয়ে আশাবাদী হওয়ার সুযোগ নেই। প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। বাজারে চাল, ডাল, চিনি ও সয়াবিনের দামে কোনো পরিবর্তন নেই।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ