বগুড়া নিউজ ২৪ঃ পটিয়া পৌরসভা ২নং ওয়ার্ড সুচক্রদন্ডী এলাকার জনাব আলী সড়ক সংস্কারে কারচুপির অভিযোগ করছে এলাকাবাসী। প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৩টি সড়কের মধ্যে সুচক্রদন্ডী জনাব আলী সড়কের বিটুমিন ও কার্পেটিং দ্বারা উন্নয়ন কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির আশ্রয় নিয়েছে সংশিষ্ট ঠিকাদার। এ নিয়ে লোকজনের ক্ষোভের মুখে স্থানীয় কাউন্সিলর ২ দফায় কাজ বন্ধ রাখে। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ এ সড়কটিতে কার্পেটিং এর মেকাডাম কাজ করার সময় পুরাতন সড়কের বিটুমিনযুক্ত রাবিশ মিশ্রণ, বালির সাথে মাটি মিশ্রণ ও নি¤œ মানের নরম ইটের কংক্রিট কার্পেটিং কাজে ব্যবহার করছে। সাব বেইজে ও বেইজের বালিতে পানি দেয়া হচ্ছে না। জানা যায়, ২০২১ ও ২০২২ সালের অর্থ বছরের পটিয়া পৌরসভার সুচক্রদন্ডী আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ বাড়ি এলাকায় এক প্যাকেজে আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ সড়ক আর.সি.সি দ্বারা উন্নয়ন ও ড্রেন নির্মাণ। নাছির মোহাম্মদ ছিদ্দিকী সড়ক আর.সি.সি দ্বারা উন্নয়ন ও ড্রেন নির্মাণ এবং জনাব আলী সড়ক বিটুমিন ও কার্পেটিং দ্বারা উন্নয়ন, ড্রেন নির্মাণ ৩টি কাজের জন্য সরকার পটিয়া পৌরসভা অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে ১৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেন।
উক্ত কাজের টেন্ডার হওয়ার পর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স তৌহিদ এন্ড ব্রাদার্স, এম.এন.ই (জে.বি) টেন্ডারপ্রাপ্ত হয়। ২০২১ সালের ৪ জুন জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি কাজের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন। ২০২১ ও ২০২২ সালের মধ্যে আরসিসি দ্বারা উন্নয়ন ও ড্রেন নির্মার্ণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে জনাব আলী সড়কের কার্পেটিং কাজ চলছে। সরেজমিনে গিয়ে এলাকার লোকজনের মধ্যে মোঃ সেলিম, মোরশেদ, শিবু দে, বাদল দে, হারাধন দে ও সুমন দে এর সাথে এ প্রতিবেদকের কথা হয়। তাদের সবার একই অভিযোগ কার্পেটিং এর কাজ নি¤œমানের হচ্ছে।
তবে আরসিসি দ্বারা উন্নয়ন ও ড্রেন নির্মাণ দুটি সড়কের কাজ ভালো হয়েছে বলে এলাকার লোকজন জানান। মোঃ সেলিম বলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ড. আহামেদ কায়কাউস প্রধানমন্ত্রী থেকে এলাকার লোকজনের যোগাযোগ ক্ষেত্রে উন্নয়নের স্বার্থে একটি স্পেশাল বরাদ্দ নিয়েছেন। এতে জনাব আলী সড়কের কার্পেটিং কাজ নি¤œমানের হচ্ছে। চাাঁদাবাজি মামলার ভয়ে এলাকার লোকজন প্রতিবাদ করছে না। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ রহস্যজনক কারণে পৌর মেয়র আইয়ুব বাবুল কাজের সুষ্ট তদারকি করছে না। ঠিকাদার মাহাবুবুল কবির চৌধুরী থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজ উন্নতমানের হচ্ছে। এলাকার লোকজন অহেতুক উদ্দেশ্যমূলক ঝামেলা করছে। এ ব্যাপারে পৌর মেয়র আইয়ুব বাবুল থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নি¤œমানের কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। নি¤œমানের যে ইটগুলো নেওয়া হয়েছিল তা অপসারণ করা হয়েছে।