১৯ মামলার আসামি নয়ন হত্যা: চারজনের আদালতে জবানবন্দি

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ায় নাহিদুল ইসলাম নয়ন হত্যাকাণ্ডে চার আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বুধবার দুপুরে এই জবানবন্দি নেয়া হয়।

এর আগে গত সোমবার ঢাকা ও গাজীপুর এলাকা থেকে ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করে বগুড়া জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. সাগর (২২), মো. রকি (২৪), মো. জনি (২৩), মো. সাকিল (২৩)। তারা সবাই গাবতলী উপজেলার বাসিন্দা এবং নয়ন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

নিহত নাহিদুল ইসলাম নয়ন গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের চকমড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। গত ১১ মার্চ রাতে লাঠি-সোটা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নয়নের মা নার্গিস বেগম মামলা করেন।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিবির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. সাইহান ওলিউল্লাহ।

ডিবি পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার আসামীদের সাথে নাহিদুল ইসলাম নয়নের এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় নাহিদুল ইসলাম নয়ন ঘটনার দিন মহিষাবান ত্রিমোহনী বাজারে সাগরকে মারধর ও রক্তাক্ত জখম করে। সাগর মারধরের বিষয়টি রকিকে জানায়। একই সঙ্গে জনি ও শাকিলের সাথে যোগাযোগ করে তারা চারজন সাতমাথায় একত্রিত হয়।

সেখানে তারা নাহিদুল ইসলাম নয়নকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এ উদ্দেশ্যে তারা নয়নের এলাকায় যান। পরিকল্পনা মোতাবেক তারা দেবোত্তরপাড়া সোনারপাড়ায় নাহিদুল ইসলাম নয়নকে দেখতে পেয়ে কাঠের বাঠাম ও এসএস পাইপ দ্বারা এলোপাথারি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

এ ঘটনার পরে স্থানীয়রা নয়নকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে নাহিদুল ইসলাম নয়ন মারা যান।

ডিবির ইনচার্জ সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারের পর তারা স্বেচ্ছায় হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। পরে তাদের আদালত জেল হাজতে পাঠায়।

প্রসঙ্গত, জেলা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী নাহিদুল ইসলাম নয়ন স্থানীয়ভাবে চিহ্নিত এক অপরাধী। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, বিষ্ফোরক ও ডাকাতিসহ মোট ১৯ টি মামলা চলমান আছে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ