বগুড়া নিউজ ২৪ঃ নেত্রকোণার বারহাট্টায় মুক্তি রানী বর্মণ নামে এক স্কুলছাত্রীকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক বখাটে যুবকের বিরুদ্ধে। সে প্রেমনগর-ছালিপুরা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
মঙ্গলবার (২ মে) দুপুর ২ টার দিকে উপজেলার প্রেমনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই স্কুলছাত্রী উপজেলার প্রেমনগর গ্রামের নিখিল বর্মণের মেয়ে। অভিযুক্ত যুবকের নাম কাউছার (২১)। তিনি একই গ্রামের সামছু মিয়ার ছেলে।
নিহতের ভাই লিটন বর্মণ জানান, মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে বাড়ির পাশে দা দিয়ে মুক্তি বর্মণকে (১৬) কোপাতে শুরু করে ওই যুবক। এ সময় মুক্তির চিৎকারে লোকজন এসে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে নেত্রকোণা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুক্তির মৃত্যু হয়।
বাউশী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ওই এলাকার বাসিন্দা মোবারক মিয়া জানান, প্রেমনগর-ছালিপুড়া ঈদগাহ মাঠ পর্যন্ত যেতেই বখাটে কাউছার মিয়া অতর্কিতভাবে প্রকাশ্যে মুক্তি রানী বর্মণকে কোপাতে শুরু করে। ঘটনা দেখে লোকজন এগিয়ে আসতে থাকলে সে পালিয়ে যায়।
বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন কুমার সাহা গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই। মরদেহ নেত্রকোণা সদর হাসপাতালে আছে। অভিযুক্ত কাউছারকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।