খেরসনে রাশিয়ার হামলায় নিহত ২৩

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন শহরে রাশিয়ার হামলায় কমপক্ষে ২৩ জন নিহত হয়েছে। আঞ্চলিক গভর্নর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় সময় বুধবার ওই শহরে গোলাবর্ষণ শুরু করে রাশিয়া। খবর আল জাজিরা, বিবিসি।

গভর্নর ওলেকসান্দর প্রোকুদিন অনলাইনে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে বলেন, আমরা যেখানে বসবাস করছি সেখানে টার্গেট করে শত্রুরা হামলা চালাচ্ছে। তিনি জানান, একটি বড় বাজার, একটি রেলওয়ে স্টেশন এবং বেশ কিছু আবাসিক ভবনে হামলা চালানো হয়েছে।

প্রোকুদিন বলেন, বিভিন্ন হামলায় ৪৬ জন আহত হয়েছে। খেরসনের আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসনের মুখপাত্র ওলেকসান্দর টোলোকোনিকোভও হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, খেরসনে রুশদের গ্রহণ না করার বদলা নিতেই রাশিয়া হামলা চালিয়েছে।

এদিকে ক্রেমলিনে ড্রোন হামলা চালিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। পুতিনের কার্যালয় জানিয়েছে, ক্রেমলিনে মঙ্গলবার রাতে দুটো ড্রোন দিয়ে হামলার চেষ্টা করা হয়েছে, তবে রুশ প্রতিরক্ষা বাহিনী সে রাতেই ড্রোন দুটো আকাশে ধ্বংস করে দিয়েছে।

তবে ক্রেমলিনে ড্রোন হামলা চালিয়ে ভ্লাদিমির পুতিনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

তিনি বলেন, আমরা মস্কো বা পুতিনের ওপর কোনো হামলা চালাইনি। আমরা আমাদের ভূখণ্ডে লড়াই করছি। আমরা আমাদের গ্রাম ও শহরকে রক্ষা করতে লড়াই করছি।

অপরদিকে ক্রেমলিনে হামলার অভিযোগ এনে রাশিয়া হুমকি দিয়েছে, সময় অনুযায়ী তারা এর উপযুক্ত জবাব দেবে। বুধবার দিনের শুরুর দিকে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায় যে, ক্রেমলিনের আকাশে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী ওপরের দিকে উঠছে। মস্কোর কেন্দ্রস্থলে বড় একটি সরকারি কমপ্লেক্সের ওপর একটি বস্তু উড়তে দেখা যায় এবং তারপরই এতে বিস্ফোরণ ঘটে।

দ্বিতীয় একটি ভিডিওতে দেখা যায় ওই এলাকার সিনেট বিল্ডিংয়ে ছোট বিস্ফোরণ, সেখানে আগুনও জ্বলতে দেখা গেছে। সে সময় দুজন ব্যক্তিকে ওই ভবনের গম্বুজের দিকে উঠতে দেখা যায়।

ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, কয়েক মিনিটের ব্যবধানে দুটি ভিন্ন দিক থেকে দুটি ড্রোন এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সামাজিক মাধ্যমের এসব ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবনে ইউক্রেনের হামলার চেষ্টার ঘটনাকে ক্রেমলিন দেখছে ‘পরিকল্পিত সন্ত্রাসী আক্রমণ এবং প্রেসিডেন্টকে হত্যার চেষ্টা’ হিসেবে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইলেকট্রনিক র‍্যাডার অ্যাসেট ব্যবহার করে ড্রোন দুটো নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।

হামলার সময় পুতিন ক্রেমলিনে ছিলেন না এবং হামলায় ভবনেরও কোনও ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে মস্কো। রাশিয়ার এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউক্রেন বলছে যে, তাদের ভূখণ্ডে ব্যাপক রুশ আক্রমণের একটি অজুহাত এটি। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তারা রাশিয়ার দাবিগুলো অনেক সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ