তাড়াশে ৩ কিমি. আঞ্চলিক সড়ক পাকা না হওয়ায় ১৫ হাজার মানুষের ভোগান্তি

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের  তাড়াশ বারুহাস আঞ্চলিক সড়কের হেদারখাল থেকে কুন্দইলকাটা খালের ব্রিজ পর্যন্ত মাত্র তিন কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়কটি পাকাকরণ না হওয়ায় ওই এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের তাড়াশ বারুহাস আঞ্চলিক সড়কের হেদারখাল থেকে কুন্দইলকাটা খালের ব্রিজ পর্যন্ত মাত্র তিন কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়কটি পাকাকরণ না হওয়ায়, ধাপতেতুলিয়া, পতিরামপুর, তেলিপারা, ভেটুয়া ও সান্দুরিয়াসহ ৫টি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ যাতায়াতের জন্য চরম বিপাকে পড়েছেন। বর্ষা মৌসুমে কর্দমাক্ত সড়ক দিয়ে  গ্রামবাসীকে হেঁটে চলাচল করতে হয়। ৩টি গ্রামের অধিকাংশ মানুষই কৃষির উপর নির্ভরশীল। সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগি হওয়ায় উৎপাদিত কৃষি পণ্য বারুহাস ও কুন্দইল হাটে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। যাতায়াতের জন্য মহিষের গাড়ির মাধ্যমে খাদ্য শস্য নিয়ে যেতে কয়েকগুণ  বেশি ব্যয় হয়। একটু বৃষ্টি হলেই ওই এলাকার ছেলে-মেয়েদের স্কুল-কলেজে যাতায়াত করা কষ্ট হয়ে পড়ে। উপজেলা শহরের যেতে এই সামান্য তিন কিলোমিটার রাস্তা পাকা না হওয়ায় সরাসরি যাতায়াত করা যায় না।

তেলিপারা গ্রামের চান তালুকদার বলেন, নির্বাচনের সময় এলে সব নেতারাই ওই তিন কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণের প্রতিশ্রুতি দিলে ও পরে আর খবর থাকে না।

সান্দুরিয়া গ্রামের রুবায়েত হোসেন রতন বলেন, আমাদের আয়ের একমাত্র উৎস কৃষি কিন্তু সেই উৎপাদিত কৃষি পণ্য ধান বিক্রি করতে গেলে বাজার মূল্যের চেয়ে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। মাত্র তিন কিলোমিটার সড়ক পাকা হলেই ওই ৫ গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার লোক সরাসরি উপজেলার যেকোন হাটে-বাজারে যাতায়াত করতে পারবেন।

তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী ইফতেখার সরোয়ার ধ্রুব জানান, হেদারখাল থেকে  কুন্দইল কাটাখালের ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার প্রকল্প জমা দেয়া হয়েছে, পাস হয়ে আসলেই কাজ শুরু করে দেওয়া হবে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ