২০৩০ সালে দেশের ৩০ শতাংশ গাড়ি হবে বিদ্যুৎচালিত

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ  কার্বন নিঃসরণ কমাতে বিদ্যুৎচালিত গাড়িতে (ইভি) জোর দিয়েছে সরকার। ২০৩০ সালের মধ্যে যানবাহনের ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎচালিত হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, আগামী ৭ বছরে পরিবহন খাতে ৩৪ লাখ টন কার্বন নিঃসরণ শর্তহীনভাবে হ্রাসের অঙ্গীকার রয়েছে সরকারের।

বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে বৈদ্যুতিক গতিশীলতায় রূপান্তর ত্বরান্বিতকরণ সংক্রান্ত উপ-আঞ্চলিক সভা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি’ বিষয়ক কর্মশালায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (ইউএনএসক্যাপ) এবং বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ কর্মশালা আগামীকাল বৃহস্পতিবার শেষ হবে।

কর্মশালায় বলা হয়, ২৫ শতাংশ কার্বনডাই-অক্সাইড নিঃসরণের জন্য পরিবহন খাত দায়ী। নিঃসরণ কমাতে বিদ্যুৎচালিত গাড়িতে জোর দেওয়া হলেও ২০৩০ সালেও সারাবিশ্বে ৭৫ শতাংশ যানবাহন হবে জ্বালানি তেল বা গ্যাসচালিত। তাই বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে বিদ্যুৎচালিত গাড়িতে (ইভি) জোর দেওয়ার এখনই সময়। ইভি তেলচালিত গাড়ির চেয়ে আড়াই গুণ সাশ্রয়ী। বিদ্যুৎচালিত গাড়ি যত বাড়বে পরিবহন খাতে খরচও তত কমবে।

ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিদ্যুৎচালিত যানবাহনে বৈধতা দিতে ইতোমধ্যে নীতিমালা করেছে বাংলাদেশ। এতে ইভিকে উৎসাহিত করা হয়েছে। আগামী নভেম্বর ১০০ বিদ্যুৎচালিত দ্বিতল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস বা ই-বাস আসবে বিআরটিসির জন্য। এর ৮০টি চলবে ঢাকায়। বাকিগুলো চলবে চট্টগ্রামে। অন্য জেলার জন্যও ই-বাস আমদানির প্রক্রিয়া চলছে।

কর্মশালার উপস্থাপনায় বলা হয়, বাংলাদেশে বিদ্যুৎচালিত গাড়ি বাড়ানোর পথে বড় বাধা অবকাঠামো। দামও বেশি। গাড়ির দাম কমানোর বিষয়ে সড়ক পরিবহন সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেছেন, বিদ্যুৎচালিত যানবাহনকে উৎসাহিত করতে আমদানি শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

ইভির পথে আরও দুই বাধা হলো গাড়ির ব্যাটারির আয়ুষ্কাল নিয়ে প্রশ্ন এবং পথে চার্জিং সুবিধা না থাকা। বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমানও বলেছেন, বাংলাদেশে এখন আর বিদ্যুতের ঘাটতি নেই। তাই ইভির দিকে অগ্রসর হওয়া যেতে পারে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আক্তার বলেন, বিদ্যুৎচালিত গাড়িকে উৎসাহিত করতে সরকারের নীতিরও পরিবর্তন হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপক (পরিচালন) ড্যানড্যান চ্যান বলেন, বাংলাদেশ জীবাশ্ম জ্বালানির বড় ক্রেতা। পরিবহন খাত বাংলাদেশের দূষণের ১৫ শতাংশের জন্য দায়ী। তাই বিদ্যুৎচালিত যান নিয়ে বাংলাদেশের পরিকল্পনা থাকা দরকার।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ