খুলনায় ‘মোখা’র জন্য প্রস্তুত ৪০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রাখা হচ্ছে খুলনার ৪০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র। একইসঙ্গে উপকূলের মানুষকে ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে। এদিকে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তাদেরকে নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে।

অপরদিকে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য বৃহস্পতিবার (১১ মে) সাড়ে বিকেল ৩টায় খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হবে।

খুলনা জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা” মোকাবিলার জন্য খুলনার ৪০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। এরমধ্যে মাল্টিপারপাস আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে ২৪টি এবং ৩৮৫টি স্কুল কাম সাইক্লোন সেল্টার। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ৭৩ হাজার ৮৫০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এরমধ্যে দাকোপ উপজেলায় ১১৮টি, কয়রায় ১১৭টি, বটিয়াঘাটায় ২৭টি, পাইকগাছায় ৩২টি, ডুমুরিয়ায় ২৫টি, রূপসায় ৩৯টি, ফুলতলায় ১৩টি ও দিঘলিয়ায় ১৬টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে।

খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল করিম জানান, এখনও ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব পড়েনি খুলনায়। তবুও আমরা প্রস্তুত রয়েছি। আমাদের ৪০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। যাতে পরিস্থিতি অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ লোকজন সেখানে আশ্রয় নিতে পারে। সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, উপজেলা পর্যায়ের আমাদের কর্মকর্তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া বিপদ সংকেত জারি হলে তারা এলাকায় মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করবেন।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আমিরুল আজাদ বলেন, বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ের যে গতিপথ আছে তাতে আপাতত খুলনার উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা কম। তবে ঝড়ের প্রভাবে বাতাস ও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ১৩ মে থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর জোয়ারের সময় ঝড় হলে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫-৬ ফুট উচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। তবে এখনও অনেক দূরে আছে। যখন বিপদ সংকেত দেওয়া হবে তখন বলা যাবে কোন এলাকায় কেমন জলোচ্ছ্বাস হবে। এখন যে গতিপথ আছে তাতে বরিশাল এলাকার পাশ দিয়ে নোয়াখালী, ফেনীর ওইদিক দিয়ে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার হয়ে টেকনাফ, সেন্টমার্টিনের পাশ দিয়ে মায়ানমার হয়ে যাবে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ