বগুড়া নিউজ ২৪ঃ ভারতে অনুষ্ঠেয় ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আর খুব বেশি সময় বাকি নেই। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এরই মধ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে দলগুলো। বিশ্বমঞ্চের বিবেচনায় টাইগাররাও নিজেদের বিভিন্নভাবে প্রস্তুত করছে।
বিশ্বকাপের আগেই হোম ও অ্যাওয়ে ভেন্যুতে কয়েকটি সিরিজ রয়েছে বাংলাদেশের। এ ছাড়াও আছে ছয় জাতির টুর্নামেন্ট এশিয়া কাপ। তবে যেকোনো বড় টুর্নামেন্টের আগে ট্রেনিং ক্যাম্প করে থাকে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। আর তাই এবারের বিশ্বকাপের আগেও হবে ট্রেনিং ক্যাম্প। তবে দেশের বাইরে নয়, দেশেই হবে এবারের ক্যাম্প।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে বর্তমানে ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে অবস্থান করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সেখানে বৃহস্পতিবার (১১ মে) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। এ সময় তিনি ট্রেনিং ক্যাম্পের ব্যাপারেও খোলাসা করেন।
জালাল ইউনুসের ভাষ্য, প্রথমে আমরা ভারতের গিয়ে কোথাও উপযুক্ত কোনো স্থানে দুই সপ্তাহের মত ট্রেনিং ক্যাম্প করতে চেয়েছিলাম। সেটাও এশিয়া কাপের আগে করতে হত। কারণ, এশিয়া কাপের পরে আর সুযোগ ছিল না, সময় পাব না। নিউজিল্যান্ড সিরিজ আছে। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে খেলেই আবার আমাদের বিশ্বকাপের সাপোর্ট পিরিয়ডে ঢুকে যেতে হবে। সেজন্য আমরা চেয়েছিলাম ট্রেনিং ক্যাম্প বা যাই আমরা করি না কেন, তা এশিয়া কাপের আগেই করতে।
তিনি আরও যোগ করেন, এখন দেখা যাচ্ছে, এত আগে সেখানে গেলে ভারতও আমাদের ঠিকভাবে ভেন্যু নিশ্চিত করতে পারছে না। তাদের কাছ থেকে আমরা সাড়া পাচ্ছি না, তারা আমাদের ভেন্যু দিতে পারছে না। এখন আইপিএল চলছে, পরে আবার বিশ্বকাপের ভেন্যু নিয়ে তারা ব্যস্ত হয়ে যাবে। সেজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, অনিশ্চয়তার মাঝে না থেকে আমরা ক্যাম্পটা দেশেই করব। কোথায় করব, তা এখনও ঠিক করিনি। যেখানে একটু বৃষ্টি কম থাকে, সেখানে করতে পারি। এই ব্যাপারে প্রধান কোচ এবং টিম ম্যানেজমেন্টের বাকি সদস্যরা আলোচনা করছে। তো আমরা ট্রেনিং ক্যাম্প বাংলাদেশেই করব।
ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যানের দাবি, মাঝে প্রায় এক মাসের মত হাতে সময় আছে। এটা ভাগ ভাগ করে করা হবে। ট্রেনিং, ম্যাচ সিনারিও, ম্যাচ ট্রেনিং হবে। ফিটনেস, কন্ডিশনের অনুশীলন হবে। সব মিলিয়ে আমরা ভালো সময় পাব, তখন এসব কাজ হবে।