সুন্দরবনের ইতিহাস ও ঐতিহ্য

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ  সুন্দরবনে বিভিন্ন প্রজাতির শামুক ঝিনুকের কথা উলে­খ করা হয়েছে। আকার আকৃতিতে ভিন্ন হিসাবে চিহিৃত করা হলে এদের সম্পূর্ণ নামকরণ এখনও সম্ভব হয়নি। তন্মধ্যে ১। সিরাথেডা (ঈবৎধঃযবফধ) ২। অবটুসা (অনধঃঁংধ) ৩। নেরিটা (ঘবৎরঃব) ৪। নিরিটানা ৫। গোল ডোরা কাটা শামুক জোয়ারের জল এড়াতে এরা ৫/৬ ঘন্টা গাছের গায়ে লেগে থাকে। ভাটার সময় নরম পলি যুক্ত কাদায় বিচরন করে। এরা মুখ দিয়ে চলাফেরা করে। ৬। টেলিসকোপিয়াস (ঞবষবংপড়ঢ়রঁস) ৭। সিঙ্গুলেটা (ঝরহমঁষবঃধ) ৮। বানিখালসী ছোট শঙ্খের মত শামুক ৯। টিটেবিকনা ১০ মেলা নোষ্টমা প্রভৃতি শামুক সুন্দরবনে আছে। শামুক ঝিনুক নরম মাটির তলে কচ্ছপের মত গড়িয়ে থাকে। খাদ্যের সন্ধানে উপরে ওঠে। শ্রীখন্ড সুন্দরবন নামক গ্রন্থে ৮০ প্রজাতিরও বেশি শামুক ঝিনুকের উলে­খ করা হয়েছে তবে সবগুলির নাম সংগ্রহ সম্ভব হয়নি।
ঝিনুকঃ
শামুকের ন্যায় ঝিনুকও বিভিন্ন আকার আকৃতির, বিভিন্ন রঙের এবং অবকাঠামো গত পৃথক গঠনের। ১। ম্যাকোমা, ২। বার্মানিকা, ৩। লম্বা আকৃতির গাং ঝিনুক ৪। গোল আকৃতির খোতে ঝিনুক যার গায়ে অমসৃন ডোরা কাটা ৫। জাত ঝিনুক, এগুলি বেশী সুন্দর ও মসৃন এবং গোলাকৃতি ৬। এনা ভেরা ৭। গ্রাণেছা, ৮। সাগর কুসুম ৯। সাগর লেখনী, ১০। দাড়ি কামানো ক্ষুরের মত ক্ষুর ঝিনুক (জবুড়ৎপঁষস) বা সোরেন কেম্পি ঝিনুক, ইত্যাকার বহুবিধ ঝিনুক আছে। গাং ঝিনুক শুধু লোনা নদীতে নয়। সুন্দরবন এলাকায় বসবাসরত মানুষের মিষ্টি জলের পুকুরেও অনেক সময় গাং ঝিনুক হতে দেখা গেছে। এবং তার মধ্যে মুক্তাও পাওয়া গেছে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ