বগুড়া (সদর) প্রতিনিধিঃ বগুড়া সদর উপজেলায় রাস্তা নির্মাণ কাজে বাধা দেওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ রাস্তা নির্মাণ করা না হলে বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত যাবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান।জানা গেছে, উপজেলা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সরকারী বিধি মোতাবেক বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ঘোষিত গ্রাম হবে শহর এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষে বগুড়া সদর উপজেলার নিশিন্দারা ইউনিয়নের বারপুর ৫নং ওয়ার্ডের ধারাপাড়া শফিকুলের বাড়ির সামনে থেকে মকবুলের বাড়ি পর্য়নÍ রাস্তায় ইট বিছানো, লিটনের বাড়ি থেকে আবুলের বাড়ি পর্যন্ত ইট বিছানো, নওদাপাড়া পাকা রাস্তা হতে আমিরুলের বাড়ি পর্য়ন্ত ও বারোপুর সোনার পাড়ায় রাস্তায় ইট বিছানো মোট ৩ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার প্রকল্প। সবগুলি রাস্তায় সঠিক ভাবে কাজ সম্পর্ন হলেও বাধ শেধেছে পরাজিত ইউপি সদস্য লিটন। সে তার জমির উপর দিয়ে রাস্তা করতে দিবেনা। এইনিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও এলাকাবীর সাথে চলে বাকবিতান্ডা।বিক্ষোভের চরম পর্য়ায়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সরকার ও বগুড়া সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সর্বসম্মতিক্রমে রাস্তায় ইট বিছানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরিস্থিতি সান্ত করে।এলাকাবাসীর অভিযোগ লিটন ভোটে পারাজিত হয়ে রাগে আমাদের যাতায়াতের এক মাত্র রাস্তায় ইট বিছানোর কাজে বাধা দিচ্ছে। ইউপি সদস্য শফিকুর রহমান শাফি ও আলহাজ¦ মোজাফ্ফর বলেন, রাস্তাটি নির্মাণ হলে এলাকার প্রায় কয়েকশত মানষের স্কুল, কলেজ, হাট-বাজারে যেতে সুবিধা হবে। এলাকাবাসী বলেন,পিছনে রাস্তা নির্মানে কেউ বাধা নাদিলেও রাস্তার সামনে লিটনের বাড়িহওয়ায় সে তার বাড়ির সাথে ১৫/২০ফুট জায়গায় রাস্তা নির্মাণে বাধা দেওয়ায় আমাদের অনেক দিনের স্বপ্ন মুখ থুবড়ে পরেছে। আমরা চাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে যেন এই রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়।নিশিন্দারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সহিদুল ইসলাম সরকার বলেন, লিটন অবৈধভাবে এই রাস্তা নির্মাণ কাজে বাধা দিয়েছেন। তারা যে স্থানে নিজেদের জায়গা দাবি করে, এই রাস্তা নির্মাণে বাধা দিয়েছে সেটি তার একার জায়গা নয়, দুই সিমার জায়গা, আগে থেকেই এখানে রাস্তা আছে। তার মাত্র এক ফুট জায়গা রয়েছে। আমি বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাটি নির্মাণ করা হবে।
আপডেট টাইম : রবিবার, মে ১৪, ২০২৩, ১৬০ বার পঠিত
Please follow and like us: