সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে মধ্যবিত্তের জন্য সুখবর আসছে

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকারীদের জন্য সুখবর আসছে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে যে কেউ ৫ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করলে রিটার্ন জমা ছিল বাধ্যতামূলক। বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে উৎসাহ দিতে এই সীমা বাড়ানো হচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে মধ্যবিত্তরা। অর্থমন্ত্রীও এই বিষয়ে সায় দিয়েছেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ক্রমাগত নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা বাড়ছে। বিশেষ করে মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে তা চলে গেছে। ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতিও। ফলে বিপাকে পড়েছে দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ। এ পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগে সুখবরের ব্যবস্থা করছে সরকার।

দেশের বয়োজ্যেষ্ঠ থেকে শুরু করে বিধবা নারীসহ মধ্যবিত্তের একটি অংশ সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ এই আয় তাদের অন্যতম ভরসা। আগামী বাজেটে তাদের সুবিধা দিতে সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগের সীমা বাড়ানো হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে যেখানে ৫ লাখ টাকার বেশি সংঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করলে রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক ছিল, সেখানে আগামী বাজেটে এর পরিমাণ বাড়িয়ে সাড়ে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত করার চিন্তা করা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রীর সম্মতি মেলায় এখন প্রধানমন্ত্রী সায় দিলেই আগামী বাজেটে বিষয়টি কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে এনবিআর সূত্র।

এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, সরকার দেশের সিনিয়র সিটিজেনদের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগসীমা বাড়াচ্ছে। অর্থমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক। তবে পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর ওপর। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এনবিআরের বৈঠকে বিষয়টি আলোচনায় আসবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগের এই কড়াকড়ি কমালে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে মধ্যবিত্তরা। যাদের কিছু সঞ্চয় আছে রিটার্ন দেন না, তাদের জন্য ভালো হবে। কাগজপত্রে ঝামেলা থাকবে না। এ ছাড়া সরকারের তো ঋণের প্রয়োজন রয়েছে।

এদিকে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে কর আদায় বাড়াতে তৃতীয় পক্ষ নিয়োগের চিন্তা করছে সরকার। কারণ হিসেবে এনবিআর কর্মকর্তারা বলছেন, এনবিআরের বর্তমান জনবল দিয়ে দেশের জেলা-উপজেলা পর্যায়ে আয়কর আদায় খুবই দুরূহ। তাই আগামী বাজেটে তৃতীয় পক্ষ নিয়োগের মাধ্যমে আয়কর আদায়ের চিন্তা-ভাবনা চলছে। আদায়কৃত আয়কর থেকে একটা নির্ধারিত অংশ এই তৃতীয় পক্ষ পাবে। এর আগে ভ্যাট আদায় বাড়াতে ইএফডি মেশিন বসাতে এনবিআর তৃতীয় পক্ষ নির্ধারণ করে। এরা ইএফডি মেশিন বসাবে এবং রক্ষণাবেক্ষণ করবে। আর এসব মেশিন থেকে আদায় হওয়া ভ্যাটে এদের অর্থ দেওয়া হবে। এতে এনবিআরের জনবলও নিয়োগ দিতে হলো না, সেই সঙ্গে বাড়বে ভ্যাট আদায়।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ