ষ্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়া শিবগঞ্জের চৌধুরী আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. শফিকুল ইসলাম রতনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়া প্রসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন শিবঞ্জের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জমি দানকারী সৈয়দ মির্জারুল আলম চৌধুরী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০০০ সালে তার দানকৃত এক একর সম্পত্তিতে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সে সময়ে তিনি মো. আব্দুর রশিদকে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেন। চিকিৎসার জন্য ছুটিতে গেলে শফিকুল ইসলাম রতনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে যান। এই সুযোগে ছোটভাই নয়ন চৌধুরী ম্যানেজিং কমিটির সহযোগিতায় রতনকে নিয়োগ দেন। তখন রতন আমার সরল বিশ্বাসের সুযোগে রেজুলেশন পাল্টে আমার স্বাক্ষর জাল করে ৪ টি রেজুলেশন তৈরি করে। গভর্নিং বডির সিদ্ধান্তক্রমে ১০ টি বিষয়ে প্রভাষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। কিন্তু শফিকুল ইসলাম রতন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কম্পিউটারের মাধ্যমে পরিবর্তন করে এর সাথে ৫টি পদ সংযোগ করে মনগড়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি তৈরি করে লোক নিয়োগ করে। আমি সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর রতন নিয়োগ ও অন্যান্য জালিয়াতির ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে অভিযোগ করি। এ কারনে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রতন আমার নামে স্নাতক ও মাস্টার্স ডিগ্রি পাশের সার্টিফিকেট তৈরি করে সত্যায়িত করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেরণ করে। সে আমার বড় ভাই কানাডা প্রবাসী সৈয়দ মাশকুরুল আলম চৌধুরীর সাথে কুপরামর্শে লিপ্ত হয়ে দিনাজপুরের বাসিন্দা সুলতান ইফতেখার আলী রেজাকে স্থানয়ী ব্যক্তি দেখিয়ে গভর্ণিং বডির সভাপতি বানিয়ে অর্থ আত্নসাত ও নিয়োগ বাণিজ্যে লিপ্ত হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন এলাকাবাসির অবগতির জন্য রতনের জালিয়াতির বিষয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার জন্য এ সংবাদ সম্মেলন করেছি। প্রয়োজনে শফিকুল ইসলাম রতনের বিরুদ্ধে উল্লেখিত অভিযোগ তদন্ত করে দেখার আহবান জানান তিনি।