মৌসুমি ফলে ভরপুর বগুড়ার ফল বাজার

মমিন রশীদ শাইনঃ প্রকৃতিতে পালাবদল এসেছে .বছর ঘুরে আবারও এসেছে জ্যৈষ্ঠ মাস। জ্যৈষ্ঠ মাসের এ সময়ে সারাদেশেই চোখে পড়ে গ্রীষ্মকালীন নানান ধরনের রসালো ফলের। প্রতিবছরের মতো এবারও গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি ফলে ছেয়ে গেছে বগুড়া শহরের বিভিন্ন ফলবাজার।

সরেজমিন বগুড়া শহর ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি বাজারেই গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি ফলের সমারোহ। এসব ফলের মধ্যে রয়েছে  লিচু, কাঁঠাল, আম, তালের শ্বাস, আনারস,জামরুল, ইত্যাদি। এ ছাড়া মৌসুম শেষ হওয়ায় বিদায়ের পথে থাকা বেল, বাঙ্গি ও তরমুজের মতো ফলও দেখা যাচ্ছে বাজারগুলোতে। এসব ফলের গন্ধ সুবাস ছড়াচ্ছে প্রতিটি বাজারে। গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি ফলের মধ্যে বর্তমানে বাজারে ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে লিচু। এ ছাড়া শহরের  প্রায় প্রতিটি পাড়া-মহল্লায়ও ভ্যানে করে মৌসুমি ফল বিক্রি করছেন অনেকে। বাজারগুলো থেকে কিছুটা কম দামেই ফল বিক্রি হচ্ছে ভ্যানের ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোয়।

শহরের অন্যতম বৃহৎ ফলের বাজার ষ্টেশন রোড এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বিক্রেতারা ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌসুমি ফল বিক্রিতে। তারা মূল দোকানের সামনের অংশে মৌসুমী ফল রেখে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন। এ বাজারে বেশি বিক্রি হচ্ছে লিচু। এ ছাড়া হিমসাগর, লেংড়াসহ বিভিন্ন জাতের আমও শোভা পাচ্ছে ফল দোকান গুলোতে। তবে লিচু পুরোদমে পরিপক্ব হলেও আম মাত্র আসতে শুরু করেছে বাজারে। ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ফল বাজারের বেশির ভাগ অংশ থাকবে মিষ্টি ও রসালো আমের দখলে।

শহরের কাঠালতলা ফল বাজারের ব্যবসায়ী রেজাউল করিম  জানান, এ বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে লিচু। প্রকার ভেদে প্রতি একশ লিচু বিক্রি হচ্ছে ১৮০ তেকে ২০০  টাকায়।  চায়না থ্রী বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায় । গতবারের তুলনায় এবার দাম কিছুটা বেশিই মনে করছেন ক্রেতারা।  অপর ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বলেন, আমের বেচাকেনা এখনো জমে উঠেনি। তবে লিচুর এখন ভরপুর মৌসুম। তাই লিচুর ব্যবসা জমজমাট। এ ছাড়া মৌসুমের শেষ দিকে হলেও এখনও বাজারে তরমুজ আছে। ৭০ টাকা কেজিতে  তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। আমের বেচাকেনা জমে উঠবে আগামী সপ্তাহ থেকে। এ বাজারে ফল কিনতে আসা সারোয়ার হোসেন বাসসকে বলেন, তিনশ টাকা দিয়ে একশ লিচু কিনেছি।

আফজাল উদ্দিন বলেন, আগে ভ্যানে করে সবজি বিক্রি করতাম। এখন মৌসুমি ফলের চাহিদা বেশি। তাই ফল বিক্রি করছি। দাম কিছুটা বেশি হলেও মানুষ ফল কিনছেন। এতে আমাদের লাভও ভালো হচ্ছে।

বগুড়া শহর ফল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি  বলেন, গ্রীষ্ম মৌসুমের নানান ধরনের দেশীয় ফল এখন বাজারে এসেছে। এগুলো মানুষের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাই কম দামে যেন ভালো ফল কিনতে পারে সেজন্য আমাদের বাজার কমিটির সবর্দা খেয়াল রাখছি।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ