ষ্টাফ রিপোর্টারঃ বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেছেন, গায়েবী মামলায় নির্বিচারে গ্রেফতার, মিথ্যা মামলাও পুলিশী হয়রানি ও দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় উর্দ্ধগতিসহ ১০দফা বাস্তবায়নের দাবিতে সারা বাংলাদেশ আজ জনসমাবেশ হচ্ছে। এ পর্যন্ত বিএনপির যতগুলো কর্মসূচি হয়েছে এ দেশের সাধারণ মানুষ স্বতস্ফুঃর্তভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের সাথে একত্রিত হয়ে একটি আওয়াজ তুলেছে এই দেশে থেকে গায়ের জারের সরকারকে তাড়াতাড়ি বিদায় করতে হবে। আজকেউ আপনার তাই বলছেন। এই আওয়ামী লীগ সরকার যখনই ক্ষমতায় এসেছে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে তারা হত্যা করেছে। মানুষের ভোটের অধিকারকে তারা কেড়ে নিয়েছে। শুধু গত ১৪ বছর নয় তারা যখন ক্ষমতায় এসেছিল স্বাধীনতার পরে বাকশাল গঠন করে তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। এই আওয়ামী লীগ আজকে দেশে দুর্নীতি করে দেশের টাকা বিদেশে পার করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দ্রব্য মূল্যের উর্দ্ধগতির কারণে আজ বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে বিশাল হতাশা এবং দুর্দশা দেখা দিয়েছে। আজ গরীব মানুষ ক্ষেতে পারে না। কেই আধা পেটে আবার কাউকে খালি পেটে থাকতে হচ্ছে। মধ্যবিত্তরা গরীব হয়ে যাচ্ছে। এই সরকার বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোকে লুট করে সেই অর্থ বিদেশে পাচার করে এ দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এই আওয়ামী লীগের সময় ১৯৭৪ সালে দেশে দুর্বিক্ষ হয়েিেছল। এই আওয়ামী লীগ গায়ের জোরে টিকে থাকার জন্য বিচার বিভাগকে দখল করে দলীয় করণ করে ধ্বংস করে দিয়েছে। আজকে কোন সুবিচার পায় না কেউ।
তিনি আরো বলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে একটি বানোয়াট মামলায় তাকে অন্যায়ভাবে সাজা দেয়া হয়েছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সরকারের নিদের্শ অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে আজকে বিদেশে থাকতে বাধ্য করছে। এই আওয়ামী লীগ দেশের সাধারণ মানুষে পিঠ দেয়ালে ঠেকিয়ে দিয়েছে। তাই আমাদের এই ১০ দফা বিএনপির দাবি নয় এদেশের জনগণের দাবি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি বিএনপির দাবি নয় এ দেশের মানুষের দাবি। শুধু তাই নয় আমাদের শত শত নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে। বগুড়ার মাটি থেকে এই ভোট চোর সরকার পতনের আন্দোলন গঠে তুলতে হবে। সেই সাথে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।
শুক্রবার বিকেলে শহরের সেন্ট্রাল হাইস্কুল মাঠে বগুড়া জেলা বিএনপি আয়োজিত ১০দফা বাস্তবায়নের দাবিতে জনসমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনার সভাপতিত্বে জনসমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারমপার্সনের উপদেষ্টা এ্যাডভেকেট একেএম মাহবুবর রহমান, হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, রাজশাহী বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এ এইচ এম ওবায়দুর রহমান চন্দন, সাবেক এমপি গোলাম মোহাম্মাদ সিরাজ, কাজী রফিকুল ইসলাম, ভিপি সাইফুল ইসলাম, মোশারফ হোসেন, জয়নাল আবেদীন চাঁন, ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী লাভলী রহমান, মীর শাহে আলমসহ প্রমুখ।
এর আগে বিএনপিসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে জনমসাবেশে যোগ দেয়।
