স্টাফ রিপোর্টার: বুধবার থেকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রি করা না হলে বা সরকার নির্ধারিত দামের বাইরে গেলে আইন প্রয়োগ করা হবে। একই সাথে আলু কেনার রশিদ বিক্রেতাদের সংগ্রহে রাখতে হবে। কোন অবস্থাতেই আলু নিয়ে কারসাজি করতে দেওয়া হবে না। ডিম আমদানীর অনুমতি দেওয়া হয়েছে, প্রয়োজনে আলু আমদানীরও অনুমতি দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩ টায় বগুড়া জেলা প্রশাসকে কার্যালয়ের কনফারেন্স রুম করতোয়ায় বগুড়ার আলু ব্যবসায়ী হিমাগার মালিক সমিতি ও অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে মত বিনিময় সভায় আলু ব্যবসায়ী ও হিমাগার মালিকদের সতর্ক করে এ সব কথা জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান।
আলু ব্যবসায়ী, হিমাগার মালিক সমিতি ও অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে জেলা প্রশাসন আয়োজিত এ মত বিনিময় সভার সভাপতিত্ব করেন বগুড়ার জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম।
বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. সফিউল আজম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আফসানা ইয়াসমিন, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর বগুড়ার সিনিয়র কর্মকর্তা মমতাজ হক, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বগুড়ার সহকারি পরিচালক ইফতেখারুল আলম রেজভী, বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন, কোল্ড স্টোরেজ মালিক সমিতির সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, বগুড়া চেম্বারের সহ-সভাপতি মাফুজুল ইসলাম রাজ, রাজাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির একাংশের সভাপতি আব্দুল হান্নান, অপরাংশের সাধারণ সম্পাদক পরিমল প্রসাদ রাজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মত বিনিময় সভায় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, আলু ব্যবসায়ীরা রশিদ দিতে চায়না। রশিদ না দেওয়ায় তারা রশিদ প্রদর্শন করতে পারে না। মত বিনিময় সভায় জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান তার বক্তব্যে বলেন, সরকার তৃণমূল পর্যায় থেকে তথ্য নিয়ে আলুর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
কিন্তু ব্যবসাযীরা প্রতিকেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকার বেশি লাভ করছে। এ ভাবে করতে দেওয়া যাবে না। তিনি হিমাগার ব্যবসায়ীদের বলেন, যারা আলু রেখেছে তাদের স্লিপে মোবাইল নাম্বার থাকতে হবে। কাদের কাদের আলু আছে তা নিশ্চিত করতে হবে।
আলুর দাম নিয়ে কারসাজি বন্ধ না হলে সরকার ডিমের মত আলুর আমদানীরও অনুমতি দিবে। তিনি বলেন একটি আদর্শ রাষ্ট্র আমদানি নয় রপ্তানি করে বেশি। আপনারা বাধ্য করলে প্রয়োজনে আলু আমদানি করা হবে।
তখন আপনাদের আলু পচে যাবে। মত বিনিময় সভায় বগুড়ার জেলা প্রশাসক কোল্ড স্টোরেজে যারা আলু রাখেন তাদের ডাটা বেইজ তৈরির উপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন ডাটা বেইজ তৈরি করা হলে কার কত আলু জমা আছে তা সহজেই জানা যাবে।
তিনি বলেন সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রি করা না হলে বা সরকার নির্ধারিত দামের বাইরে গেলে আইন প্রয়োগ করা হবে। একই সাথে আলু কেনার রশিদ বিক্রেতাদের সংগ্রহে রাখতে হবে। তিনি বলেন, কেউ যদি রশিদ না দিতে চায় তবে পুলিশে অভিযোগ করবেন, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।