সারিয়াকান্দিতে বন্যায় পাকা সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

সারিয়াকান্দি বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার সারিয়াকান্দির কাজলা ইউনিয়নে সাম্প্রতিক বন্যায় পাকা সড়ক ভেঙে চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে মানিকদাইড় বাজারের সাথে বিভিন্ন বাজারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। জনভোগান্তিতে পড়েছে চার গ্রামরে মানুষ।

উপজেলার চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের মানিকদাইড় বাজারের পূর্ব পাশে দুটি কালভার্টের পাশে পাকা সড়ক গত সাম্প্রতিক বন্যায় ভেঙে গেছে। ফলে কালভার্ট দু’টির দু’পাশে বিশালাকার গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের সাথে কাজলা ইউনিয়নের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।

এছাড়া কাজলা ইউনিয়নের টেংরাকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেও বন্যার স্রোতে রাস্তা ভেঙে বিশালাকার গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চার গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ নানা সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করছেন।

এখানে মানিকদাইড় বাজার থেকে দক্ষিণে তিন কিলোমিটর পরে নব্বইয়ের চর বাজার, দেড় কিলোমিটার দক্ষিণে কটাপুর বাজার, দুই কিলোমিটার দক্ষিণে আনন্দ বাজার এবং আড়াই কিলোমিটার দক্ষিণ শাহজালাল বাজারের একটি কানেকটিভিটি সড়ক রয়েছে, যা সরাসরি সারিয়াকান্দি মাদারগঞ্জ ঘাট বা জামালপুর জেলার সাথে সংযুক্ত। গত বন্যায় সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ভাঙনের ফলে এসব সংযোগগুলো এখন বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ফলে পূর্ব সারিয়াকান্দির অর্ধলাখের বেশি মানুষ নানা ধরনের দুর্ভোগের শিকার হয়ে চলাচল করছেন।

মানিকদাইড় বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ বলেন, মানিকদাইড় বাজারের সকল ব্যবসায়ী তাদের মালামাল জামালপুর জেলা সদর থেকেই নিয়ে আসেন। জামালপুরের সাথে সংযোগের প্রধান রাস্তাটি মানিকদাইড় বাজারের পূর্ব পাশে ভেঙে যাওয়ায় আমরা যানবাহনে মালামাল বাজারে নিয়ে আসতে পারছি না।

ভাঙন এলাকা পর্যন্ত যানবাহন এসে মালগুলো নেমে দিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমরা মাথায় করে মালগুলো বাজারের দোকানে নিয়ে যাই। এতে পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় পণ্যগুলো বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
পাকেরদহ গ্রামের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, ভাঙন এলাকার পাশে গ্রামবাসী তাদের যানবাহনগুলো রেখে হেঁটে বাজারে যান।

কৃষকরা তাদের ফসলাদি এবং গৃহপালিত গবাদিপশু কোলে করে পারাপার করেন। এতে প্রতিদিনই ভাঙন এলাকায় নানা ধরনের দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী। সড়কটি দ্রুত মেরামত করতে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানান তিনি।

সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রকৌশলী তুহিন সরকার বলেন, ইতিমধ্যেই ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। খুব দ্রুত একটি প্রকল্প নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে ভাঙন কবলিত এলাকাগুলো মেরামত করতে বলা হয়েছে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০