লাল আটার রুটি রেসিপি

বগুড়া নিউজ ২৪: একটা সময় এ দেশে প্রায় সবাই লাল আটার রুটি খেতো। তখনও আটা রিফাইন করা শুরু হয়নি। প্রযুক্তির বদৌলতে লাল আটা রিফাইন হয়ে গেল সাদা। চলে গেল পুষ্টিগুণ। পুষ্টিবিদরা বলছেন রিফাইন করা সাদা আটার রুটিতে পুষ্টিগুণ তলানিতে। উপরোক্ত সাদা আটার রুটি খেলে অনেক সময় উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়। তাই শরীরে পুষ্টির ভারসাম্য বজায় রেখে সুস্থ থাকতে খেতে হবে লাল আটার আদি-অকৃত্রিম রুটি। লাল গমের আটা দিয়ে তৈরি খাবার ভাতের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে থাকে। লাল আটা স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। লাল আটাতে রয়েছে আয়রন, থিয়েমিন, নিয়াসিন, ভিটামিন বি এবং আরও অনেক উপকারী উপাদান।

যা হোক; লাল আটার রুটি তৈরি করবেন কিভাবে, তা জেনে নেওয়া যাক- যা লাগবে: > গমের লাল আটা ২ কাপ।
> লবণ ১/৪ চা চামচ।
> পানি/সয়াদুধ দেড় কাপ। প্রস্তুত প্রণালি: একটি পাত্রে পানি/ সয়াদুধ ও লবণ দিয়ে গরম করে চুলা বন্ধ করে দিন। এবার  ২ কাপ আটা অল্প অল্প করে মিশিয়ে আটার কাই তৈরি করুন (পানি গরম করে নিলে রুটি অনেকক্ষণ নরম থাকবে)। এবার তৈরি করা কাই দিয়ে পছন্দমতো আকারের রুটি বেলে নিন। চুলায় তাওয়া গরম করে রুটি সেঁকে নিন। সবজি/ তরকারি/ ডাল/ হালুয়া দিয়ে পরিবেশন করুন। নিয়মিত গমের রুটি খেলে কী কী উপকার পাওয়া যায়- > লাল আটায় রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও আঁশ। লাল আটাতে আরো পাওয়া যায় ফলিক এসিড, ফসফরাস, জিংক, কপার, ভিটামিন ‘বি১’, ভিটামিন ‘বি২’ ও ‘বি৩’। যেসব উপাদান আমাদের হৃদরোগ প্রতিরোধ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। > যারা অতিরিক্ত ওজন সমস্যায় ভুগছেন, তারাও নিয়মিত লাল আটার রুটি খেতে পারেন। লাল আটা শরীরে ক্ষতিকর ফ্যাট কমিয়ে উপকারী ফ্যাটের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে বলে এটি ওজন কমাতে অনেকাংশে সাহায্য করে।

> লাল আটায় খাদ্য আঁশ রয়েছে বলে এটি রক্তের কোলেস্টেরল কমিয়ে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

> লাল আটার তৈরি খাবার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ফলে তারা রোগবালাইয়ে কম ভোগেন। আটায় থাকা ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট এর পেছনে কাজ করে। > লাল আটার খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায় না। এ কারণে লাল আটার খাবার দীর্ঘ সময় আমাদের পেটে থাকে। ফলে সহজে ক্ষুধাবোধ হয় না। লাল আটায় থাকা ফাইবার বা আঁশ হজমে উপকার করে। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। > ভিটামিন বি৬ এর অভাবে মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। লাল আটাতে ভিটামিন বি৬ থাকায়, এটি ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ