বৃষ্টির পানিতে বগুড়ার সবজির বাজারে আগুন

বগুড়া নিউজ ২৪: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর লাগাতার হামলা চলছেই। ভূখণ্ডটির বিভিন্ন স্থানে চালানো এই হামলায় একদিনে কমপক্ষে আরও ৯৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও সাড়ে তিন শতাধিক।

এতে করে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা ৫৮ হাজার ৭০০ জনের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, ইসরায়েলের টানা হামলায় গাজা উপত্যকায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮ হাজার ৬৭৭ জনে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজা জুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আরও ৯৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং ৩৬৭ জন আহত হয়েছেন। এতে মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯৭৪ জনে।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, বহু মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছেন বা রাস্তায় পড়ে আছেন। উদ্ধারকর্মীরা সেখানে পৌঁছাতে পারছেন না, ফলে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় কেবল মানবিক সাহায্য নিতে গিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ২৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ৩২ জনের বেশি আহত হয়েছেন। গত ২৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত এই ধরনের ঘটনায় মোট ৮৭৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন অন্তত ৫ হাজার ৬৬৬ জন। স্টাফ রিপোর্টার : গত দু’দিন আগের ভারী বর্ষণ আর হালকা বৃষ্টিতে বগুড়ার সবজির বাজারে আগুন লেগেছে। সবজির বাজারে দামের উত্তাপে অস্বস্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। এছাড়াও বেশ চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের চাল।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বগুড়ার ফতেহ আলী বাজারসহ বেশকিছু বাজার ঘুরে দেখা যায়, একমাত্র আলু ছাড়া সব ধরনে সবজির দামই বাড়তি। বেগুন ও শসার কেজি ৮০ টাকা, আর কাঁচামরিচের কেজি ১৬০। অথচ বৃষ্টির আগে বেগুন ও শসা ৪০-৫০ এবং কাঁচামরিচ ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হয়। সব ধরনের আলুর কেজি ২০ এবং পেঁয়াজ মানভেদে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পটল ও পেঁপে ৩০-৪০, ঢেঁড়স ৪০, করলা, গাজর, ঝিংগা ও চিচিংগা ৬০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি আদা ১২০, রসুন মানভেদে ১৬০-২০০ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারী বর্ষণ আর কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বাজারে সবজি সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। মূলতঃ বৃষ্টির কারণে জমিতে ফসলের ক্ষতি এবং ফসল তুলে না পারার কারণে এই সংকট তৈরি হয়েছে। আর চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ ঘাটতির কারণে কোন কোন সবজির দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।

এদিকে কুরবানি ঈদের পর বাড়তে থাকা চালের দাম আর কমেনি। গত এক মাসের বেশি সময়ে কয়েক দফায় চালের দাম বাড়তে বাড়তে তা সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস তুলেছে। চালের দাম কমাতে সরকার আমদানিসহ কিছু উদ্যোগ নিলেও, বাজার তদারকি না থাকায় চালের দম কমছে না বলে অভিযোগ সাধারণ ভোক্তাদের। গতকাল বগুড়ার ফতেহ আলী বাজারে প্রতি কেজি বিআর-২৮ চাল মানভেদে ৬০-৬৫, যা আগে ছিল ৫৬-৬০, বিআর-৪৯ চাল ৬০-৬৫, আগের দাম ৫৫-৫৮, রঞ্জিত ৬০ টাকা, আগের দাম ৫৫-৫৮, কাটারিভোগ ৭৫-৭৮, যা আগে ছিল ৬৫-৭০, মিনিকেট চাল ৭০-৮০, আগের দাম ৬৫-৭০ এবং নাজিরশাইল চাল আগে ৭৫ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কয়েক দফায় দাম বেড়ে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা যায়।

অপরদিকে, এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল অপরিবর্তিত ১৮৫ টাকা, পাঁচ লিটার ৮৯০, আটা প্রতি প্যাকেট ৪৫, ময়দা ৬৫ টাকা, মসুরের ডাল মানভেদে ১১০-১৪০ টাকা, লালচিনি ১২৫ এবং সাদাচিনি ১০৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা যায়। এছাড়াও দেশি মুরগির কেজি ৫২০ টাকা, ব্রয়লার মুরগির কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে ১৬০, পাকিস্তানি মুরগি দাম কিছুটা কমে ২৬০ এবং ডিম প্রতি হালি ৪০ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়। প্রকৃতিতে বৃষ্টির প্রভাব থাকলেও কমেনি কোন মাছের দাম। বরং বাড়তি দামেই সব ধরনের মাছ বিক্রি হতে দেখা যায়। দেড় থেকে দুই ওজনের রুই মাছ প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা, তিন কেজি ওজনের কাতল মাছ প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, আড়াই কেজি ওজনের সিলভার কার্প মাছ ২২০ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়। এছাড়াও চিংড়ির কেজি ৮শ’ টাকা, টেংরা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০, পাবদা আকারভেদে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়। বাজারে ইলিশ মাছের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও দাম বেশ চড়া। বগুড়ার বাজারে প্রতি কেজি ইলিশের সর্বনিম্ন দাম এক হাজার এবং সর্বোচ্চ ১৮শ’ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা যায়।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ফেসবুকে আমরা

পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০