ব্রাজিলে ট্রাম্পের প্রশংসায় বলসোনারো সমর্থকদের সমাবেশ

বগুড়া নিউজ ২৪: ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর হাজার হাজার সমর্থক রোববার রাস্তায় নেমে আসে।

রিও ডি জেনেইরো থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ডানপন্থী মিত্রের বিচারের বিরুদ্ধে যে চাপ প্রয়োগ করছে, তার প্রতি সমর্থন জানাতেই বলসোনারোর সমর্থকরা রাস্তায় নেমেছেন।

২০২২ সালে বামপন্থী লুইজ ইনাসিও লুলা দ্য সিলভার বিরুদ্ধে পুনঃনির্বাচনে জয়লাভ করতে ব্যর্থ হওয়ার পর, অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বর্তমানে রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় বলসোনারোর বিচার চলছে।

ব্রাসিলিয়ায় একটি সমাবেশে অংশ নেওয়া স্টেনোগ্রাফার ভালদেসিরিয়া গালভাও এএফপিকে বলেন, আমি এখানে সেন্সরশিপ ও বিচারকদের বিরুদ্ধে আমাদের জনগণকে রক্ষা করতে এসেছি। তারা স্বেচ্ছাচারী আচরণ করেন।’

বেশিরভাগ বিক্ষোভকারী সবুজ ও হলুদ রঙের পোশাক পরেছিলেন, যা ব্রাজিল ও বলসোনারোর দলের জাতীয় রঙ। সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কেউ কেউ আবার মার্কিন পতাকা বা ‘ধন্যবাদ ট্রাম্প’ লেখা প্ল্যাকার্ড ধরেছিলেন। সাও পাওলো ও রিও ডি জেনেইরোসহ বেশ কয়েকটি শহরে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল।

আদালত ৭০ বছর বয়সী বলসোনারোকে গৃহে অবস্থান করার এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার না করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই তিনি এই সমাবেশে অংশগ্রহণ করতে পারেননি।

লুলার কাছে নির্বাচনী পরাজয় সত্ত্বেও ক্ষমতায় থাকার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তাকে এই মামলায় কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এর কার্যক্রম শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বুধবার, মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আলেকজান্দ্রে ডি মোরেসের ওপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। মোরেস এই বিচারকার্যে সভাপতিত্ব করেন।

ট্রাম্প এই বিচার কার্যকে ‘ডাইনি শিকার’ বলে অভিহিত করেছেন।

একই দিনে ট্রাম্প ব্রাজিলের বেশ কয়েকটি আমদানির ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। এর মাধ্যমে ট্রাম্প দেশটিকে শাস্তি দেওয়ার জন্য মার্কিন অর্থনৈতিক শক্তি প্রয়োগ করছেন। ৬ আগস্ট থেকে এই শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।

রিও ডি জেনেইরোতে রোববারের সমাবেশে মারিস্তেলা দোস সান্তোস বলেন, ‘আমি এই নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে শতভাগ একমত।’

তিনি আরো বলেন, ‘যেহেতু এখানে (ব্রাজিলে) কোনও সমাধান খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই সমাধানটি অন্য কোথাও (বিদেশী রাষ্ট্র) থেকে আসতে হয়েছে।’

কাঁধে আমেরিকান পতাকা পরিহিত ৬২ বছর বয়সী এই শিক্ষিকা আরো বলেন, ওয়াশিংটন কর্তৃক ঘোষিত শুল্কের অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে তিনি বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন নন।

তিনি যুক্তি দেন যে, আমার উদ্বেগের বিষয় হল ব্রাজিল ভেনেজুয়েলার মতো হয়ে যাবে এবং আমরা সুপারমার্কেটে কিছু কিনতে পারব না।

তিনি কারাকাসে নিকোলাস মাদুরোর সমাজতান্ত্রিক শাসনামলে গুরুতর ঘাটতির দিকে ইঙ্গিত করেন। ৪৬ বছর বয়সী উদ্যোক্তা পাওলো রবার্তোও একই অনুভূতির প্রতিধ্বনি করেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে, শাস্তিমূলক শুল্কের প্রয়োজন রয়েছে।

রবার্তো বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক হলেও, ভবিষ্যতে বৃহত্তর স্বাধীনতা ও উন্নত জীবনযাত্রার আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়িত করার জন্য আপনাকে কয়েক ধাপ পিছিয়ে যেতে হবে।’

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ফেসবুকে আমরা

পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০