৪ আগস্ট বিক্ষোভে উত্তাল ছিল বগুড়া

মমিনুর রশীদ শাইন: গতবছরের ৪ আগস্ট আন্দোলনকারীদের জন্য ছিল ৩৫ জুলাই, গুলি আর রক্তে রাঙা আরও একটি দিন। এই দিনে সারাদেশের মতো অসহযোগ আন্দোলন ও বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে বগুড়া।

পুলিশের পাশাপাশি রাস্তায় নামা আওয়ামী বাহিনীর সঙ্গে একাধিক সংঘর্ষ শেষে আন্দোলনকারীদের ক্ষোভ যেন সেদিন কাঁপিয়ে দিয়েছিল ফ্যাসিবাদী ক্ষমতার মসনদ।

সেদিন ভোর থেকেই জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। পাড়া মহল্লাতেও ছাত্র-জনতা লাঠিসোঁটা হাতে অবস্থান নেন। দিনভর মিছিল আর স্লোগানে সরব হয়ে ওঠে বগুড়া শহর।

সকাল সাড়ে দশটার দিকে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা সাতমাথা সহ কয়েকটি আশেপাশের কয়েকটি রাস্তায় অবস্থান নেয়।

রাস্তায় ছাত্র-জনতার ধাওয়ায় পালিয়ে যায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। জেলা আওয়ামীলীগ অফিসে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।

পুলিশ তাদের বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও দিনব্যাপী সংঘর্ষ ঘটে।

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বগুড়া জেলার সভাপতি বলেন, ‘ইন্টারনেট চালু হলে সারাদেশে ছাত্র-জনতা আবার সংগঠিত হতে থাকে। তিনি আরও বলেন, সময়ের প্রয়োজনে রাজপথ আমাদের একত্রিত করেছিল। সেই জন্য আমরা একটি কমিটি করে আন্দোলন শুরু করি। পরে আমাদের কমিটির সমন্বয়ক সাইদুর রহমান আমাদের জেলায় অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হয়। ৪ আগস্ট সকালেই শহর ছাত্র-জনতার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকে।

এক বছর আগের এই দিনে পুলিশ ও আওয়ামী পেটোয়া বাহিনীর সঙ্গে একাধিক সংঘর্ষে শতাধিক আন্দোলনকারী আহত হন বলে জানান তিনি।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ফেসবুকে আমরা

পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০