এবার ইসরাইল-সুদান চুক্তি, ফিলিস্তিনের নিন্দা

মার্কিন মধ্যস্থতায় সুদান ও ইসরাইল সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে শুক্রবার একমত হয়েছে। কয়েক দশকের শত্রুতার অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে সম্পাদিত এই চুক্তিকে স্বাগত জানানো হলেও এতে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

১৯৪৮ সালে ইসরাইলের প্রতিষ্ঠার পর থেকে সুদান এক কৌশলগত যুদ্ধে লিপ্ত ছিল, এই চুক্তির ঘোষণার ফলে ইহুদি রাষ্ট্রটির সাথে পঞ্চম আরব দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হলো।

মিসর প্রথম আরব রাষ্ট্র যেটি ১৯৭৯ সাল ইসরাইলের সাথে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে। জর্ডান ১৯৯৪ সালে একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করে।

মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি এক টুইটারে লিখেছেন, “আমি সুদান ও ইসরাইলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সুদান এবং ইসরাইলের যৌথ প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই।”

৩ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের প্রাক্কালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতোপূর্বে সুদান ও ইসরাইলের এই চুক্তির ঘোষণা দিয়েছিলেন। ট্রাম্প টুইটারে লিখেছেন “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বে শান্তির জন্য এটি বিশাল জয়।”

সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের পর সুদান- এই তিনটি আরব দেশ কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বভাবিক করতে সম্মত হয়। আরও অনেকেই তাদের অনুসরণ করবে’ বলে ইসরাইল প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এটিকে একটি “আশ্চর্যজনক মোড়” বলে উল্লেখ করেছেন।

তিনি আজ এএফপিকে হিব্রু ভাষায় পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আজ খার্তুম ইসরাইলের সাথে শান্তির জন্য হ্যাঁ, ইসরাইলের স্বীকৃতির জন্য এবং ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকের জন্যও হ্যাঁ বলেছে।”

তবে এই চুক্তিকে “বিশ্বাসঘাতকতা” হিসেবে উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ফিলিস্তিন নেতৃবৃন্দ। এই চুক্তিকে “রাজনৈতিক পাপ” হিসেবে অভিহিত করে গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী হামাস বলেছেন, এই চুক্তি কেবল ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীকেই উপকৃত করেছে।

হামাস আরো বলেছে, ” এই চুক্তি ফিলিস্তিন জনগণ এবং তাদের ন্যায্য অধিকারের জন্য ক্ষতিকর, এমনকি সুদানের জাতীয় স্বার্থকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে।”

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ফেসবুকে আমরা

পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০