প্রতিষ্ঠানে আত্মঘাতী বোমা হামলা, নিহত ১৮

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ১৮ জন মারা গেছে এবং বহু আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

বেসরকারি ঐ প্রতিষ্ঠানে উচ্চ শিক্ষায় নিয়োজিত থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য কোর্স করানো হত।

আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে বোমা হামলাটি হয় দুপুরের পর।

শিয়া মুসলিম অধ্যুষিত দাশত্-এ-বারচি এলাকায় সাধারণত শত শত শিক্ষার্থী থাকে।

ঐ হামলায় আহত অনেককে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলে পোস্ট দিয়ে ইসলামিক স্টেট গ্রুপ এই হামলার দায় স্বীকার করলেও নিজেদের জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ প্রদর্শন করেনি তারা।

এর আগে তালেবান এই হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে।

আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সংবাদ সংস্থা এএফপি’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন।”

তিনি জানান যে হামলাকারীকে ‘নিরাপত্তা রক্ষীরা ভেতরে ঢুকতে না দিলে তিনি সেখানে বোমা বিস্ফোরণ ঘটান।’

স্থানীয় একজন বাসিন্দা আলী রেজা এএফপি’কে জানান আহত ও নিহত হওয়াদের মধ্যে সবাই শিক্ষার্থী, যারা ঐ প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

গত কয়েক সপ্তাহে আফগানিস্তানে জঙ্গি হামলার হার বেড়েছে

তিনি বলেন, “আমি প্রতিষ্ঠানটির ১০০ মিটার দূরে দাঁড়িয়ে ছিলাম এবং হঠাৎ বিশাল একটি বিস্ফোরণে ছিটকে পড়ি।”

গত কয়েক সপ্তাহে আফগানিস্তানে এই ধরণের সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে, যেগুলোর অধিকাংশ হামলার পেছনেই ছিল তালেবানরা।

এসব সহিংসতার ঘটনায় কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবান ও আফগান সরকারের মধ্যে চলমান শান্তি আলোচনা ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আফগানিস্তানের শিয়া সম্প্রদায় এর আগেও ইসলামিক স্টেট গ্রুপের মত কট্টরপন্থী সুন্নি মুসলিম গ্রুপের আক্রমণের শিকার হয়েছে, যাদের দৃষ্টিতে শিয়া মতবাদ ইসলাম ধর্মের বিরোধী।

আফগানিস্তানে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা এই প্রথম নয়।

২০১৮ সালের অগাস্টে একটি শিক্ষা কেন্দ্রে ক্লাস চলাকালীন সময় আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৪৮ জন মারা যায়, যাদের অধিকাংশই ছিল বয়সে কিশোর। ঐ হামলার দায়ও স্বীকার করেছিল ইসলামিক স্টেট।

এবছরের মে মাসে কাবুলের একটি হাসপাতালের ম্যাটার্নিটি ওয়ার্ডে বন্দুকধারীর হামলায় নবজাতকসহ ২৪ জন নারী ও শিশু মারা যায়।

এই সপ্তাহের শুরুতেও উত্তর আফগানিস্তানের তাকহার প্রদেশের একটি ধর্মীয় স্কুলে বিমান হামলায় ১১জন শিশু মারা যায়।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ফেসবুকে আমরা

পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০