তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান আঞ্চলিক মিত্রদের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন
করোনাভাইরাস মহামারির পর নেটো জোটের মিত্রদের সাথে তুরস্কের বিরোধের জের ধরে ডলারের অনুপাতে তুরস্কের মুদ্রার রেকর্ড পরিমাণ দরপতন হয়েছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়েপ এরদোয়ান সাম্প্রতিক বক্তব্যে ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো কয়েকটি দেশের সাথে তিক্ত সম্পর্ক তৈরি করেছেন।
বিশ্লেষকরা তুরস্কের মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি – গত মাসে ১১.৭% – এবং সুদের হার বাড়ানোর বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অসম্মতির বিষয়টিকে কারণ মনে করছেন।
সুদের হার বাড়ানো মুদ্রাস্ফীতি কমিয়ে আনতে পারে এবং তুরস্কের মুদ্রা লিরা কিনতে বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করতে পারে।
বাজার বিশ্লেষকরা মনে করেন লিবিয়া, সিরিয়া, সাইপ্রাসের আশেপাশে এবং ককেশাস অঞ্চলে তুর্কী প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের শক্তি প্রদর্শনের কারণে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আন্তর্জাতিক ব্যবসা করা একজন তুর্কী নাগরিক বলেন, “তুরস্কের মুদ্রা লিরা দুর্বল হয়ে যাওয়ার পেছনে নতুন কারণ সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তৈরি হওয়া ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা।”
তুরস্কের রাবো ব্যাংকের একজন বিশ্লেষক পিওতর ম্যাটিস বলেছেন যে, তুরস্কের ব্যবসায়ীদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেন বিজয়ী হলে ‘রাশিয়া থেকে এস-৪০০ (অ্যান্টি এয়ারক্রাফট) মিসাইল সিস্টেম কেনার কারণে বড় ধরণের নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।’ পাশাপাশি ‘তুরস্কের সাথে ফ্রান্সের দ্রুত অবনতি হওয়া পারস্পরিক সম্পর্কের বিষয়টিও বাজারে উদ্বেগের কারণ’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
এই বছরে তুরস্কের মুদ্রা লিরা ২৬% মান হারিয়েছে এবং তুরস্কের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে মুদ্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে গত ১৮ মাসে তারা ১০ হাজার কোটি ইউরোর বেশি অর্থ ব্যয় করেছে।














