ইংল্যান্ড সফরে শুরু আর দক্ষিণ আফ্রিকায় শেষ- মাঝের ১৬ বছরে অনিয়মিত ভিত্তিতে ভারতীয় দলের হয়ে ২৫ টেস্ট, ৩৮ ওয়ানডে ও ২ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন পার্থিব। সবশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০১২ সালে, সবশেষ টি-টোয়েন্টি ২০১১ সালে এবং টেস্ট ক্রিকেটে শেষবার নেমেছিলেন ২০১৮ সালে।
পরের বছর অস্ট্রেলিয়া সফরের স্কোয়াডে থাকলেও মূল ম্যাচে জায়গা হয়নি তার। জাতীয় দলের বাইরে গুজরাট রাজ্য দলের হয়ে অবদানের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন পার্থিব। ২০১৫ সালে তার অধীনে বিজয় হাজারে ট্রফি জেতে গুজরাট। ফাইনাল ম্যাচে দিল্লির বিপক্ষে শিরোপা নির্ধারণী সেঞ্চুরি করেন তিনি।
বিজয় হাজারে ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরের মৌসুমেই রঞ্জি ট্রফিতে নিজ দলকে শিরোপা জেতান পার্থিব। এবার ফাইনাল ম্যাচে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে খেলেন ১৪৩ রানের ইনিংস, গুজরাট পায় রঞ্জি ফাইনালের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে ম্যাচ জেতার গৌরব। এর মাস দুয়েক আগে প্রায় ৮ বছর পর জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি।
ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্বার হলেও, আন্তর্জাতিক মঞ্চে বারবার আসা-যাওয়ার মধ্যেই ছিলেন পার্থিব। তবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে আবার টপঅর্ডারের নিয়মিত মুখ এ ডানহাতি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। আইপিএলে তিনবার শিরোপাজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। প্রথমবার ২০১০ সালে জিতেছে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে।
পরে ২০১৫ ও ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের জার্সি গায়ে জড়িয়ে। এর মধ্যে ২০১৭ সালে শিরোপা জেতার পথে ১৩৪.৮১ স্ট্রাইকরেটে ৩৯৫ রান নিয়ে ছিলেন দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। সবমিলিয়ে ৬টি ভিন্ন আইপিএল দলের হয়ে খেলেছেন পার্থিব। সবশেষ ২০১৯ সালের আইপিএলে তিনি ছিলেন রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু দলে।
ভারতের জাতীয় দলের হয়ে খেলা ২৫ টেস্টে ৯৩৪, ৩৮ ওয়ানডেতে ৭৩৬ ও ২ টি-টোয়েন্টিতে ৩৬ রান করেছেন পার্থিব। কোন সেঞ্চুরি নেই, হাফসেঞ্চুরি পেরিয়েছেন ১০ ইনিংসে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সবমিলিয়ে ১১,২৪০ রান করেছেন পার্থিব। যেখানে ছিল ২৭টি সেঞ্চুরি। পাশাপাশি কিপিং গ্লাভস হাতে ৪৮৬ ক্যাচ ও ৭৭টি স্ট্যাম্পিং করেছেন তিনি।