কাশ্মীর: বছরের প্রথম দিনই পাক গুলি-গোলায় শহিদ সেন

বছর বদলালেও কৌশল বদলাল না পাকিস্তান। ভারতের সঙ্গে ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিন, শুক্রবার, পাক গোলা বর্ষণে শহিদ হয়েছেন এক ভারতীয় সেনা জওয়ান। সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনাটি ঘটেছে জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরির নিয়ন্ত্রণরেখায়।

সেনা সূত্রে খবর, শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টে থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত রাজৌরির নৌশেরা সেক্টরে গোলাবর্ষণ করে পাকিস্তানি সেনা। নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া অঞ্চলগুলিতে গুলিও ছোড়া হয়। আছড়ে পড়া পাক গোলার আঘাতে শহিদ হন ওই সেনা জওয়ান। ভারতীয় সেনার এক মুখপাত্র জানান, কোনও রকম প্ররোচনা ছাড়া এদিনও সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। ঘটনার পর ভারতের তরফেও সমুচিত প্রত্যাঘাত করা হয়েছে।

সেনার ওই মুখপাত্র জানান, শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টে নাগাদ প্রথম বার গোলাবর্ষণ শুরু করে পাক সেনা। ছোট আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি করার পাশাপাশি মর্টার শেল ছুড়তে থাকে। ভারত কড়া প্রত্যাঘাত করলে, কিছুক্ষণের জন্য হামলা বন্ধ হয়। বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ নৌশেরা সেক্টরে ফের গোলাবর্ষণ শুরু করে পাকিস্তান। বিকেলে দ্বিতীয় দফার পাক হামলায় ঘায়েল হন নায়েব সুবেদার রবীন্দর। শহিদ নায়েব সুবেদারকে সাহসী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওঁর আত্মবলিদান দেশ মনে রাখবে।

কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে জম্মু-কাশ্মীরে পাকিস্তানের তরফে ৫,১০০ বার সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। বিগত ১৮ বছরের মধ্যে সর্বাধিক। গড়ে প্রতিদিন ১৪ বার করে সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করেছে পাকসেনা। পাক গোলায় গোটা বছরে নিহত হয়েছেন ৩৬ জন। এর মধ্যে ২৪ জনই নিরাপত্তা বাহিনীর। ঘায়েল হয়েছেন ১৩০ জনেরও বেশি।

জম্মু-কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করার পর থেকেই উপত্যকাকে অশান্ত করতে একের পর এক জঙ্গি হামলা চালিয়েছে লস্কর-ই-তৈবা, হিজবুল মুজাহিদিন-সহ বেশ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠন। ২০১৯ সালে জাকির মুসার উত্তরসূরি তথা আল-কায়দার কাশ্মীর শাখার প্রধান হামিদ লেলহারিকে খতম করে ভারতীয় সেনা। ২০২০ সালেও একের পর এক জঙ্গি নেতাকে ধরা বা খতম করা হলেও কাশ্মীরে পাকিস্তানের সংঘর্ষ বিরতি এক মুহূর্তের জন্যে থেমে নেই।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ফেসবুকে আমরা

পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০