বগুড়া নিউজ ২৪ঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকায় বানভাসিদের চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। এ পর্যন্ত পর্যাপ্ত ত্রাণ তৎপরতা নেই।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, এবারে উপজেলার কাপাসিয়া, হরিপুর, বেলকা, শ্রীপুর, তারাপুর, চন্ডিপুর, শান্তিরাম ও কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়ন দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের চরাঞ্চলসহ কুলবর্তী ডানতীর বাঁধের নদী পৃষ্ঠে বসবাসরত সাড়ে ১৯ হাজার পরিবারের প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশী মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এসব বানভাসি মানুষজন ঘরবাড়ি ছেড়ে শিশু, বয়ঃবৃদ্ধ ও গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাঁধের রাস্তা ও বাঁধের রাস্তার অপর পৃষ্ঠে অবস্থান নিচ্ছেন। এসব বানভাসি মানুষের জন্য শুকনো খাবার, পশু-পাখি ও শিশু খাদ্যের তীব্র সঙ্কটে পরেছেন। চলতি বন্যায় মৎস্য ঘের, শাক-সবজি, পাট, আউশ ধান, বীজতলাসহ গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
উপজেলা ত্রাণ শাখা সূত্রে জানা যায়, বন্যার্তদের জন্য এ পর্যন্ত ৫০ মে.টন চাল, ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ও শিশু খাদ্য বাবাদ আরও ৫০ হজার টাকা বরাদ্দ এসেছে। যা বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ চলছে।
থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহিল জামান জানান, বন্যার্তদের জানমালের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ২টি অতিরিক্ত টিম গঠন করা হয়েছে। নৌ-পথে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রয়েছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত তিস্তা নদীর পানি বিপদ সীমার শূণ্য দশমিক ৫৮ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আপডেট টাইম : শনিবার, জুলাই ৪, ২০২০, ২৪০ বার পঠিত
Please follow and like us: