শেরপুর প্রতিনিধিঃ শেরপুর বগুড়া পুলিশ বাহিনীকে আরো বেশি জনমুখী করতে, মানুষের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা পৌঁছে দিতে সারা দেশে বিট পুলিশিং কার্যক্রম চালুর ঘোষণা দিয়েছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। গ্রামাঞ্চলে ইউনিয়ন, ওয়ার্ড এবং শহরের মহল্লাগুলোকে বিটে বিভক্ত করে একজন উপ-পুলিশ পরিদর্শককে (এসআই) এর দায়িত্ব দেওয়া হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত এ পুলিশ কর্মকর্তারাই এলাকার আইন-শৃঙ্খলাসহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজ রাখবেন ও প্রাথমিকভাবে ব্যবস্থা নেবেন। বিট পুলিশিংয়ের মূল ধারণা হচ্ছে, পুলিশ কর্মকর্তারাই সেবা নিয়ে যাবেন মানুষের কাছে। তবে মামলাসহ কিছু আইনগত বিষয়ে থানায় আসতে হবে। বর্তমান করোনার পরিস্থিতিতে চরম বিপদে না পড়লে মানুষ থানামুখী হওয়ার সম্ভাবনা কম।
সে ঘোষণানুযায়ী বিট পুলিশিং বাড়ি বাড়ি, নিরাপদ সমাজ গড়ি শ্লোগানকে সামনে রেখে বগুড়ার শেরপুরে বিট পুলিশিং কমিটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। ৭ আগষ্ট শুক্রবার উপজেলার দুবলাগাড়ী এলাকায় মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্যের বাড়ীর ৩য় তলায় সাংগঠনিক সভার মাধ্যমে এই আনুষ্ঠানিক যাত্রার শুভ উদ্বোধন করেন শেরপুর সার্কেল বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান। শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর সার্কেল বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান। সাংগঠনিক সভায় বক্তব্য রাখেন বিট পুলিশিং কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী আসিফ ইকবাল সনি, সদস্য সচিব ফরহাদুজ্জামান শাহীন প্রমূখ। বক্তারা বলেন, মানুষ যেন শান্তিপূর্নভাবে জীবন যাপন করতে পারে বিট পুলিশিং সেই চেষ্টা করে যাবে। কোথাও কোন সমস্যা হলে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে সেই সমস্যার সমাধান করতে হবে। উন্নত দেশগুলোর আদলে এলাকাভিত্তিক বিট ভাগ করে পুলিশিং কার্যক্রমের বিষয়টি বাংলাদেশ পুলিশ প্রবিধান (পিআরবি)’তে থাকা বিট পুলিশিংয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০১০ সালে ডিএমপিতে এর যাত্রা শুরু হয়। এরপর সিলেট, ময়মনসিংহ, বরিশালসহ কিছু ইউনিট করেছে। এবার কেন্দ্রীয় নির্দেশনার মাধ্যমে সারা দেশে এটি বাস্তবায়িত হবে।’ তবে কমিউনিটি পুলিশের কমিটি বাতিল হচ্ছে না বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, আইনি পরিভাষায়, বিট হলো একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকা। পুলিশ অধীক্ষেত্রের একটি ছোট অংশকে বলা হচ্ছে বিট। সুতরাং বিট পুলিশিং হলো কোনো একটি নির্দিষ্ট এলাকায় নির্দিষ্টসংখ্যক বা বিশেষ পুলিশ সদস্যদের স্থায়ীভাবে দায়িত্ব পালন করা। এ ধারণাটি এসেছে লন্ডন মহানগর পুলিশের কার্যপদ্ধতি থেকে। জাপানের কোবান পদ্ধতিতেও প্রতিটি কোবান বা পুলিশ বক্সের অধীন একটি নির্দিষ্ট এলাকা রয়েছে।