ষ্টাফ রিপোর্টারঃ মোবাইলে ফ্রি ফায়ার গেম খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে বগুড়ার শিবগঞ্জে সিফাতকে গলাকেটে হত্যা করেছে তারই সমবয়সী এক বন্ধু। বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
এর আগে শিবগঞ্জ উপজেলার বুড়িগঞ্জ ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের একটি বাঁশবাগান থেকে সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে সিফাতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সিফাত বগুড়া শহরের নুরানী মোড় খাঁ পাড়ার শাহ আলমের ছেলে এবং এলাকার প্রভাতী পাবলিক স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সেদিন রাতেই সিফাতের বাবা শাহ আলম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা করেন।
এর পরপরই ঘটনাটি নিয়ে কাজ শুরু করে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে মঙ্গলবার রাতে ঢাকার মনিপুর এলাকা থেকে হত্যায় অভিযুক্ত ওই শিশুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার বেলা ১২টার দিকে পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, সিফাত ও আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত তার বন্ধু মোবাইলে ফ্রি ফায়ার গেম খেলত। অভিযুক্ত শিশু কিছুদিন আগে কৌশলে সিফাতের গেমের আইডি ও পাসওয়ার্ড নিয়ে নেয়। পরে সিফাত ও তার কয়েক বন্ধু তাকে চাপ দিলে পাসওয়ার্ড ফেরত দেয়। কিন্তু এটি নিয়ে সংঘাতে জড়িত শিশু মনে মনে ক্ষোভ পুষে রাখে।
সোমবার বিকেলে সিফাত তার বোনের মোবাইল মেরামত করার জন্য বের হলে ওই শিশুর সঙ্গে দেখা হয়। তখন সিফাতকে তার দাদার বাড়ি নিশ্চিন্তপুর গ্রামে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে নিয়ে যায়।
নিশ্চিন্তপুর গ্রামে বেড়াতে গিয়ে ওই বাঁশবাগানে বসে গল্পগুজব করে। এ সময় সুযোগ বুঝে চাপাতি দিয়ে গলায় আঘাত করে। সিফাত মাটিতে পড়ে গেলে ওই শিশু আরও কয়েকবার কোপ দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
এ ঘটনার পরপর আত্মগোপনে চলে যায় ওই শিশু।
জেলা পুলিশের এই কর্তা জানান, তথ্য সংগ্রহের সময় খেলা নিয়ে ঝামেলার কথা জানা যায়। পরে আরও জানা যায় সিফাতের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনাস্থল সংঘাতে জড়িত শিশুর দাদার বাড়ি। এসব সূত্র ধরে তদন্ত করে ঢাকার মনিপুর থেকে ওই শিশুকে গ্রেপ্তার করা হয়।